উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পঞ্জাব, গোয়া এবং মণিপুরে ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ মার্চের মধ্যে ভোটগ্রহণ হয়েছে (Assembly Election Results 2022)। সর্বাধিক সাত দফায় ভোট হয়েছে উত্তরপ্রদেশে, মণিপুরে দুই দফায় এবং পঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড ও গোয়াতে এক দফাতেই মিটেছে ভোটগ্রহণ (Assembly Election Results 2022) পর্ব।
২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনে হেরেছেন যে মুখ্যমন্ত্রীরা:
চরণজিৎ সিং চন্নি: কংগ্রেস ভেবেছিল দলিত মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ভোটের বাজি মাত করতে পারবেন চন্নি (Charanjit Singh Channi)। কিন্তু যে দু’টি আসনে চরণজিৎ সিং চন্নি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন- চমকৌর সাহেব এবং ভাদৌর, দু’টিতেই হেরেছেন (List of Loser CMs) তিনি। AAP-এর লাভ সং উগোকে ভাদৌরে ৫৭,০০০ ভোট পেয়েছেন, চন্নি পেয়েছেন ২৩,০০০। চমকৌর সাহেবে চন্নি প্রায় ৫০,০০০ ভোট পেয়েছেন অন্যদিকে AAP-এর নিকটতম সমনামী প্রতিদ্বন্দ্বী চরণজিৎ সিং ৫৪,০০০ ভোট পেয়েছেন।
advertisement
আরও পড়ুন- প্রয়াত মনোহর পারিকরের নির্দল পুত্রকে ভোটে হারিয়েও খুশি নন গোয়ার বিজেপি প্রার্থী!
“আমি বিনয়ের সঙ্গে পঞ্জাবের জনগণের রায়কে গ্রহণ করছি এবং আম আদমি পার্টির বিজয়ের জন্য আর তাদের নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান জিকে অভিনন্দন জানাই। আমি আশা করি তারা জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করবে,” ট্যুইট করেছেন চন্নি।
নির্বাচনের (Assembly Election Results 2022) আগে, লাভ সিং উগোকের (Labh Singh Ugoke) অভিযোগ ছিল, “চন্নি নিজেকে একজন ‘আম আদমি’ হিসেবে উপস্থাপন করার যতই চেষ্টা করুন না কেন, কিন্তু তিনি তা নন। শুধু দলিত হওয়ার শংসাপত্র থাকলেই কাউকে ‘আম আদমি’ বলা যায় না। চন্নি সাব দলিত হলেও আম আদমি নন। তিনি রাজার মতো জীবনযাপন করছেন। তিনি নিজের কোটি টাকার সম্পত্তির ঘোষণা করেছেন।”
আরও পড়ুন- সরকারি অফিসে মুখ্যমন্ত্রী নয়, থাকবে ভগত সিং আম্বেদকরের ছবি! ঘোষণা ভগবন্ত মানের
পুষ্কর সিং ধামি: বিজেপি কংগ্রেসকে বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করে উত্তরাখণ্ডে (Assembly Election Results 2022) ক্ষমতায় ফিরতে চলেছে। মজার বিষয় হল, উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী (Pushkar Singh Dhami) আশ্চর্যজনকভাবেই হেরে গিয়েছেন (List of Loser CMs) কংগ্রেসের কাছে। কংগ্রেসের ভুবন চন্দ্র কাপ্রি ৪৪,৪৭৯ টি ভোট পেয়ে খাটিমা বিধানসভা আসনে (Khatima assembly seat) জয়ী হয়েছেন। পুষ্কর ধামি পেয়েছেন ৩৭,২৫৪ টি ভোট। পুনঃনির্বাচিত হলে একটি অভিন্ন নাগরিক বিধির (ইউসিসি) খসড়া করার জন্য কমিটি গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন পুষ্কর। রাজ্যের সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় ঐতিহ্যের ‘নিরাপত্তা’ এবং সীমান্ত দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মনে করেই এই সিদ্ধান্ত নেন পুষ্কর।
