নয়াদিল্লিতে অনুপম বলেন, "প্রশ্ন হল, হঠাৎ করে কেন তিনি এত বেশি বিজেপি ঘনিষ্ট হয়ে উঠলেন। সত্যি যদি তিনি এত বিজেপি ঘনিষ্ট হয়ে থাকেন, তা হলে আমার কাছে ১০ থেকে ১৫ জন তৃণমূল নেতার নাম আছে যাঁরা বিশ্বভারতীর জায়গা দখল করে বসে আছেন। তাহলে অমর্ত্য সেনকে যে নোটিশ পাঠানো হল, সেই নোটিশ ওইসব তৃণমূল নেতাকে পাঠানো হল না কেন?" উপাচার্যের বিজেপি প্রীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, " বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা দু'বার হাইকোর্টে জেতার পর তিনি রুদ্ধদ্বার বৈঠক করে তিনি বলছেন অনুপম হাজরা কে বিশ্বভারতীতে ঢুকতে দেওয়া যাবে না। সরকারি টাকা খরচ করে তিনি সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছেন। এটা কি তাঁর বিজেপি ঘনিষ্ঠতার নমুনা?"
advertisement
আরও পড়ুন: আয়কর ব্যবস্থা সরল হোক, চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী! নতুন কর কাঠামো নিয়ে আশাবাদী নির্মলা
আরও পড়ুন: 'ভারতীয় ব্যাঙ্কিং সেক্টর 'নিরাপদ'..., SBI-LIC নিয়ে বড় দাবি নির্মলা সীতারমণের!
এরপরেই তিনি বলেন, " উপাচার্য পদের মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে বলেই কি তিনি বেশি করে নিজেকে বিজেপি ঘেঁষা প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন? " তাঁর প্রশ্ন, " তিনটি প্রশ্নের উত্তর দিন উপাচার্য। এক, কেন তিনি তৃণমূল নেতাদের নিয়ে ঘোরেন, দুই বিশ্বভারতীর জায়গা দখল করে রাখা তৃণমূল নেতাদের নোটিশ নয় কেন, তিন , দু'বার হাইকোর্টে মামলা জেতার পরেও কেন রুদ্ধদ্বার বৈঠক করে বলছেন আমায় ঢুকতে দেবেন না?"
বিশ্বভারতীর উপাচার্যের পাশাপাশি অমর্ত্য সেনকেও এক হাত নিয়েছেন অনুপম হাজরা। তিনি বলেন, " যদি অমর্ত্য সেন নোবেল পুরস্কার না পেয়ে থাকেন তাহলে সেই পুরস্কার পাওয়ার পর যে সমস্ত বইতে নোবেলজয়ী লেখা আছে, সেগুলি মুছে ফেলা অথবা একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করা।" তাঁর কথায়, " অমর্ত্য সেনের সমস্যা হল, তিনি যে জ্ঞান অর্জন করেছেন, ভারতীয় হওয়া সত্বেও সেগুলি সব বিদেশে কাজে লাগালেন। ভারতের জন্য কিছু করলেন না, এখানে থাকেনও না। শুধুমাত্র মাঝে মাঝে এসে মোদি সরকারের সমালোচনা করেন। তাঁর উচিত আগে এখানে থেকে পরিস্থিতি বুঝে তারপর সমালোচনা করা।"
রাজীব চক্রবর্তী