গত বুধবারই গরু পাচার মামলায় সুকন্যা মণ্ডলকে দিল্লিতে গ্রেফতার করেছে ইডি৷ এই মুহূর্তে অনুব্রতর মতো সুকন্যাও তিহাড় জেলে রয়েছেন৷ যদিও তাতে বাবা এবং মেয়ের সাক্ষাতের কোনও সম্ভাবনা নেই।
আরও পড়ুন: অনুব্রত নয়...! তিহাড়ে 'অন্য' কারও সঙ্গে সাক্ষাতের আবদার কেষ্ট-কন্যার! চাইলেন বই, আর...?
তিহাড় জেল থেকে তাঁকে আসানসোল জেলে পাঠানোর জন্য আবেদন করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। এ দিনও তাঁকে ফের একবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে পেশ করে ইডি। অনুব্রতর এই আবেদনে অবশ্য আজ কোনও নির্দেশ দেয়নি আদালত। অনুব্রতকে ফের একবার ৪ মে পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। অনুব্রতকে আসানসোল জেলে ফেরানো হবে, নাকি তিনি তিহাড় জেলেই থাকবেন, আগামী ৪ মে সেই নির্দেশ দেবে আদালত।
advertisement
আরও পড়ুন: 'ED আমাকেও গ্রেফতার করুক...' অনুব্রতকন্যার 'ছায়াসঙ্গী', কে এই সুতপা পাল? প্রকাশ্যে এল 'আসল' পরিচয়!
এ দিন আদালতে পেশ করার সময়ই সুকন্যার গ্রেফতারি নিয়ে অনুব্রতকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। তার জবাবেই অনুব্রত বলেন, 'মেয়েকে অ্যারেস্ট করা অন্যায়। এটা কোনও বাহাদুরির কাজ হয়নি।'
আদালতে অনুব্রতর আইনজীবী দাবি করেন, যে উদ্দেশ্যে ইডি অনুব্রতকে দিল্লি এনেছিল, তা পূরণ হয়েছে। ফলে এই মুহূর্তে তাঁকে তিহাড় জেলে রাখার প্রয়োজন নেই। ভবিষ্যতে ফের প্রয়োজন হলে তিনি তিহাড় জেলে আসতে রাজি। এর পাল্টা ইডি-র আইনজীবী দাবি করেন, একজন অভিযুক্ত ঠিক করতে পারেন না তিনি কোন জেলে থাকবেন। কটাক্ষের সুরে ইডি-র আইনজীবী বরং বলেন, আগামী তিন- চার বছর তিহাড় জেলকেই অনুব্রতর ঘরবাড়ি ধরে নেওয়া উচিত৷