মঙ্গলবার বিকেলে রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রতকে ১৩ দিনের জন্য তিহাড়ে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়ার পর আপাতত তাঁর ঠিকানা তিহার জেল। তাঁকে ফের ৩ এপ্রিল আদালতে পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক রঘুবীর সিংহ।
আরও পড়ুন: কৌশিক গাঙ্গুলির সিনেমায় ডিবিউ! করেছেন শর্টফিল্মও, কোনপথে টলিউডে অয়ন শীলের বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তী?
advertisement
এ দিকে, তিহাড় জেলে প্রথম রাত আলাদা ঘরেই রাখা হয়েছে অনুব্রতকে। আজ তাঁকে সেল-এ দেওয়া হবে। শ্বাসকষ্টের সামান্য সমস্যা আগেই ছিল। সেই কারণে জেলে ঢোকার আগেই তিনি তার আইনজীবী সম্পৃক্তা ঘোষালকে জিজ্ঞেস করে নেন, সেখানে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন, মাস্ক, নেবুলাইজার দেওয়া হবে কি না। সেই অনুযায়ী জেল হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাঁর পরীক্ষা করেন৷ প্রয়োজনে অক্সিজেনের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছিল।
রাতে নিজের পরিচিত ব্যবহার্য ওষুধ না পাওয়ায় সাময়িক সমস্যা হয়েছিল অনুব্রতর। জেলের নিয়ম অনুযায়ী, ব্যবহার্য ওষুধ সঙ্গে নিতে দেওয়া হয়নি। জেল হাসপাতাল থেকে অনুব্রতর প্রেসক্রিপশন দেখে একই মলিকিউল অনুযায়ী ওষুধ দিয়েছেন জেল হাসপাতালের ডাক্তাররা। কিন্তু পরিচিত ওষুধের পাতা না পেয়ে সাময়িক সমস্যায় পড়েন তৃণমূল নেতা। কোন ওষুধ খেতে হবে বুঝতে সময় লাগে তাঁর।
আরও পড়ুন: মামা ভাগ্নি বলেই জানতেন, অয়ন শ্বেতার আসল সম্পর্ক জেনে হতবাক প্রতিবেশীরা
রাতে তাঁকে রুটি দেওয়া হলেও খেতে পারেননি অনুব্রত৷ তার বদলে ভাত, ডাল, সবজি খেয়েছেন। জানা গিয়েছে, জেলে প্রথম রাতে ভাল ঘুম হয়নি বীরভূমের তৃণমূল নেতার । গরু পাচার মামলায় ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত এনামুল হক, অনুব্রতের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন, বিএসএফের অফিসার সতীশ কুমার তিহাড় জেলে রয়েছেন। সোমবারই অনুব্রতের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকেও তিহাড়ে পাঠানো হয়েছে। জেল সূত্রের খবর, বাকিদের সঙ্গেই অনুব্রত সাত নম্বর জেলেই থাকবেন। তবে গতকাল রাত পর্যন্ত কোনও পরিচিত সঙ্গীর সঙ্গে দেখা হয়নি অনুব্রতর।
জেলের নিয়ম অনুযায়ী, আপাতত একজন জেল আধিকারিকের নজরদারিতেই আছেন কেষ্ট। নিয়ম অনুযায়ী প্রথম কয়েকদিন নতুন বন্দিদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। আচরণে কোনও অস্বাভাবিকতা না পাওয়া গেলে তবেই অন্য বন্দিদের সঙ্গে রাখা হবে। যেহেতু সেল নং ৭-এ শুধুমাত্র পিএমএলএ মামলার বন্দিদের জন্য বরাদ্দ, সে কারণে হাই প্রোফাইল বন্দিরা থাকেন এই সেলে। এখানে যে কোনও বন্দিকে রাখার আগে তাই বাড়তি নজরদারি চালানো হয়।