অনুব্রতর ছায়াসঙ্গী সায়গলকে জেরা করে সন্ধান মিলেছে মন্টু মল্লিক নামে এক ব্যক্তিরও। সূত্রের খবর, এই মন্টু মল্লিক পাচার করার গরু এনামূলের নামে রসিদ দেখিয়ে বিক্রি করত। বলা হত গরু লোকাল হাটে বিক্রি হয়েছে। গতকালই আসানসোল জেলে গিয়ে সায়গলকে জেরা করে সিবিআই। একদিকে গরুপাচার মামলায় নিজাম প্যালেসে অনুব্রতকে জেরা করছে সিবিআই। পাশাপাশি এদিন আসানসোল জেলে পৌঁছে যান সিবিআই-র ৩ জন অফিসার। অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীকে সেখানেই জেরা করেন ওই তদন্তকারী অফিসারেরা।
advertisement
আরও পড়ুন: অর্পিতার দেওয়া গোপন তথ্যের ভিত্তিতে পার্থকে ৫ ঘণ্টা জেরা, আরও সম্পত্তির খোঁজে ইডি!
সেখানেই জেরায় এমন চাঞল্যকর তথ্য উঠে এসেছে গোয়েন্দাদের হাতে। সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গলের গত সাত বছরে, অর্থাৎ ২০১৫ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে মোট অতিরিক্ত আয়ের পরিমাণ প্রায় ২৬.৩৫ লক্ষ টাকা। এই বিপুল আয়ের উৎস কী তা জানতে এখন মরিয়া হয়ে উঠেছে সিবিআই। সূত্রের খবর, গরুপাচারের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকার ইঙ্গিতই মিলেছে সায়গল হোসেনের, যিনি ছিলেন অনুব্রতর ছায়াসঙ্গী।
আরও পড়ুন: 'নতুন তৃণমূলের পোস্টার মানে নতুন তোলাবাজির পদ্ধতি', কড়া আক্রমণ শুভেন্দু অধিকারীর
সিবিআইয়ের দাবি, গরুপাচারের টাকার কেবল গৃহীতা ছিলেন সায়গল। অনুব্রত মণ্ডলের কাছে গরুপাচারের যে টাকা আসত, সেই টাকা তিনি নিজে নিতেন না, জমা করা হত সায়গলের অ্যাকাউন্টে। সেটি ছিল তাঁর স্যালারি অ্যাকাউন্টও। গরুপাচার কাণ্ডের চাঁই এনামূলের হাত ঘুরে সেই টাকা আসত অনুব্রতর দেহরক্ষীর কাছে, এমনই মনে করছে সিবিআই।
সুশোভন ভট্টাচার্য