ইডি সূত্রে খবর, জনৈক আধিকারিক অনুব্রত মণ্ডলের মুখে অনর্গল বাংলায় উত্তর শুনে তাঁকে বলেন, "থোড়া হিন্দিমে বলিয়ে"। তাতে অনুব্রত মণ্ডলের উত্তর ছিল, "হিন্দি আমি জানি না। মেঠো রাজনীতি করেছি তাই যা বলার বাংলাতেই বলব।" ফলে অনুব্রত মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন ইডি আধিকারিকরা।
advertisement
আরও পড়ুন: ভুলে যান AC-কুলার! এই গরমে ঘর থাকবে জাস্ট Super Cool! এই রইল ১০ দুর্দান্ত উপায়...
সূত্রের খবর দুজন বাঙালি আধিকারিককে দিয়েই তাই গোটা জিজ্ঞাসাবাদ প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে। ইডির জিজ্ঞাসাবাদ প্রক্রিয়ায় ওই দুই বাঙালি অফিসারই মূলত জিজ্ঞাসাবাদ করছেন অনুব্রত মণ্ডলকে। কারণ দিল্লির স্থানীয় আধিকারিকরা সেই ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারছেন না ভাষাগত সমস্যার কারণে। কেষ্ট মণ্ডলের মুখে শুধু একই বোল। "মেঠো রাজনীতি করেছি বাংলার গ্রামের মানুষের স্বার্থে তাই যা বলার বাংলাতেই বলব। আমি হিন্দি জানি না হিন্দি বুঝিও না।"
আরও পড়ুন: 'সাগরদিঘির' পরেই বড় বার্তা বঙ্গ বিজেপির! 'একটি' বিষয়ে এক সুরে দিলীপ, শুভেন্দু, সৌমিত্র
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ছ' টায় আসানসোল জেল থেকে বেরিয়েছিলেন। এর পর কলকাতা হয়ে দিল্লির বিচারকের বাড়িতে শুনানি শেষে যখন ইডি-র লক আপে ঢোকানো হয়, তখন ঘড়ির কাঁটায় রাত দুটো পেরিয়েছে। যদিও তার আগে জোর সওয়াল হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে ঘিরে। অনুব্রতকে সুস্থ রাখতে বিচারকও বেশ কিছু আর্জি মেনে নিয়েছেন।
সেই অনুযায়ী, বুধবার ফের স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয় অনুব্রত মণ্ডলের। নিয়ে যাওয়া হয় রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে। গতকাল মাঝরাতে বিচারক রাকেশ কুমারের বাড়িতে নজিরবিহীন শুনানিতে অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবীর ৩টি আর্জি মেনেও নিয়েছেন বিচারক। সেগুলি হল---
১) ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় নির্দিষ্ট দূরত্বে উপস্থিত থাকতে পারবেন অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী।
২) প্রতিদিন আধঘন্টা আইনজীবীর সঙ্গে একান্তে কথা বলতে দিতে হবে অনুব্রত মণ্ডলকে।
৩) প্রতিদিন তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার গভীর রাতের শুনানিতে অনুব্রত মণ্ডলকে ৩ দিনের জন্য ইডি হেফজাতে পাঠিয়েছেন বিচারক রাকেশ কুমার৷ বুধবার এমনিতে দিল্লিতে হোলির ছুটি৷ ফলে শুনসান ইডি-র সদর দফতরও৷ কিন্তু সূত্রের খবর, শুধুমাত্র অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করার জন্যই ইডি দফতরে পৌঁছন এই মামলার তদন্তকারী অফিসার পঙ্কজ কুমার এবং তাঁর দুই সহযোগী৷
প্রতিবেদন : অনুপ চক্রবর্তী
