গত শনিবার কাশ্মীরের (Kashmir) নিরাপত্তা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শ্রীনগরে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী৷ জম্মু কাশ্মীরের উপরাজ্যপাল মনোজ সিনহা ছাড়াও ওই বৈঠকে জম্মু কাশ্মীরের মুখ্যসচিব, পুলিশের আইজি, ডিজিপি, র-এবং আইবি-র প্রধান, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা উপস্থিত ছিলেন৷
বৈঠকে হাজির এক সরকারি আধিকারিকের কথা অনুযায়ী, অমিত শাহ (Amit Shah) নিরাপত্তা এজেন্সি এবং বাহিনীর শীর্ষ কর্তাদের উদ্দেশে বলেন, 'কাশ্মীরের ভালো মন্দ দেখার জন্য আমরা আছি৷ আপনারা সন্ত্রাস নির্মূল করার উপরে জোর দিন৷ উপত্যকায় সন্ত্রাস দমনে আমরা কোনও সহনশীলতা দেখাবো না৷'
advertisement
আরও পড়ুন: বুলেট প্রুফ আবরণ সরিয়ে কাশ্মীরবাসীর মন জয়ের চেষ্টা, সিআরপিএফ ক্যাম্পে রাত্রিবাস অমিত শাহের
বৈঠকে আইবি কর্তারা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানান, অনেক সময়ই গোয়েন্দা তথ্যের উপরে নির্ভর করে কাশ্মীরে কর্মরত আধিকারিকরা পদক্ষেপ করতে চান না৷ কারণ তাঁদের ভয় থাকে একটু এদিক ওদিক হলেই সিবিআই তদন্তের মুখে পড়তে হবে৷ এ কথা শুনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাফ বলেন, যাঁরা কাশ্মীরে কাজ করতে ভয় পাচ্ছেন তাঁরা স্বচ্ছন্দে অন্য কোথাও বদলি নিয়ে চলে যেতে পারেন৷ ওই সূত্রের কথা অনুযায়ী শাহ বলেন, 'এখানে থেকে আমাদের ধন্য করার প্রয়োজন নেই৷'
কাশ্মীরের নিরাপত্তায় যে এখনও ফাঁকফোকর রয়েছে, সেনা কর্তাদের সামনে এমন অভিযোগও তোলেন অমিত শাহ৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বোঝানো হয়, চলতি বছরে কাশ্মীরে মাত্র এগারোটি অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেছে৷
এ কথা শুনে শাহ পাল্টা প্রশ্ন করেন, যদি মাত্র এগারোটি অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটে থাকে এবং এত জঙ্গি নিকেশ হয়ে থাকে, তার পরেও কীভাবে নিয়মিত হামলা চালিয়ে এত সাধারণ মানুষের প্রাণনাশ করছে জঙ্গিরা? এর পাশাপাশি কাশ্মীরে যারা জঙ্গিদের নানা রকম সাহায্য করছে, তাদের বিরুদ্ধেও কড়া পদক্ষেপ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন অমিত শাহ৷ সম্প্রতি লস্কর-ই-তৈবা, জৈশ-ই-মহম্মদের মতো জঙ্গি গোষ্ঠীকে মদতের অভিযোগ কাশ্মীর থেকে ৯০০ জনকে আটক করে নিরাপত্তা বাহিনী৷
গত বেশ কিছুদিন ধরেই পরিযায়ী শ্রমিক সহ সাধারণ মানুষের উপরে হামলা চালাচ্ছে জঙ্গিরা৷ চলতি মাসেই এখনও পর্যন্ত ১১ জনকে খুন করেছে জঙ্গিরা৷ তার মধ্যে পাঁচজন বিহারের বাসিন্দা, এ ছাড়াও এক শিক্ষক সহ তিন জন স্থানীয় বাসিন্দাকেও খুন করে জঙ্গিরা৷