এদিন মণিপুর নিয়ে বিক্ষোভের জেরে তিনবার মুলতবি হয় অধিবেশন৷ দুপুর আড়াইটে নাগাদ ফের অধিবেশন শুরু হলে, মণিপুর নিয়ে নিজের বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ৷
আরও পড়ুন: বিরাট স্বস্তি! অভিষেক-রুজিরার বিদেশ যাত্রা নিয়ে কী নির্দেশ, ইডি-কে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের
এদিন অধিবেশনে বক্তৃতা করা কালীন অমিত শাহ জানান, তিনি মণিপুর নিয়ে আলোচনার জন্য তৈরি৷ এ বিষয়ে সংসদে একটি আলোচনা হোক৷ বিরোধীরা কেন সহযোগিতা করছে না, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন শাহ৷ তিনি বলেন, মণিপুরে যা ঘটেছে তার সত্যতা সকলের সামনে আসা উচিত৷
advertisement
কিন্তু, তা সত্ত্বেও একটাই দাবিতে অনড় ছিলেন কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে৷ গান্ধিমূর্তির পাদদেশে মণিপুর নিয়ে বিক্ষোভ দেখানোর সময় খাড়্গে বলেন, আলোচনা করে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়৷ সংসদ কক্ষের বাইরে নয়, সংসদে এ বিষয়ে বিবৃতি দিতে হবে প্রধানমন্ত্রীকে৷
আরও পড়ুন: গত ৮১ দিন কেমন ছিল মণিপুর? এবার এ নিয়ে বড় পদক্ষেপ নিচ্ছে শাসকদল
মণিপুর ইস্যুতে এ দিন সকাল থেকেই দিল্লিতে সংসদ ভবনের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিরোধী দলের সাংসদরা৷ বেঙ্গালুরুতে গঠিত ইন্ডিয়া জোটের শরিক অধিকাংশ দলের সাংসদরাই সেখানে উপস্থিত ছিলেন৷ মণিপুর ইস্যুতে সংসদে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বিবৃতি দিতে হবে, এই দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিরোধী দলের সাংসদরা৷
বিক্ষোভস্থলে মল্লিকার্জুন খাড়্গের পাশাপাশি ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, অধীররঞ্জন চৌধুরীরা৷
বিরোধী দলগুলির বিক্ষোভে হাজির হয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘তিন মাস ধরে মণিপুর জ্বলছে৷ এ নিয়ে সরকারের কী অবস্থান তা স্পষ্ট করুক৷ মণিপুর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কেন চুপ? কারণ সরকার মণিপুর নিয়ে আলোচনাই চায় না৷ মণিপুর থেকে নজর ঘোরানোর জন্য এখন বাংলা, বিহার, রাজস্থানে নারী নির্যাতনের কথা তোলা হচ্ছে৷ ’’