কিন্তু কেন এই প্রসঙ্গের উত্থাপন? আসলে ওই অনুষ্ঠানে বিরোধীদের অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে। বিরোধীদের অভিযোগ ছিল যে, বিরোধী দলগুলিকে নিশানা করার জন্য কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির ‘অপব্যবহার’ করছে মোদি সরকার। সেই প্রশ্নের উত্তরেই তিনি কংগ্রেসকে নিশানা করেন। আর দাবি করেন, “সেই সময় ভুয়ো এনকাউন্টার মামলায় মুখ্যমন্ত্রীর পদে আসীন মোদিকে ‘ফাঁসানোর জন্য’ আমার উপর ‘চাপ’ সৃষ্টি করেছিল সিবিআই। অথচ তা নিয়ে বিজেপি কখনওই কোনও শোরগোল করেনি।”
advertisement
আরও পড়ুন: ‘একটি পরিবারের জন্য দেশের আইন কি বদলানো উচিত?’, রাহুল গান্ধির ইস্যু নিয়ে স্পষ্ট অমিত শাহ
এর পাশাপাশি শাহ তোপ দেগেছেন রাহুল গান্ধির বিরুদ্ধেও। কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন রাহুলকে। সুরাতের এক আদালত ওই কংগ্রেস নেতাকে একটি ফৌজদারি মানহানির মামলায় দোষী সাব্যস্ত করেছে। সেই প্রসঙ্গে শাহের বক্তব্য, ওই কংগ্রেস নেতাই প্রথম কিংবা একমাত্র রাজনীতিবিদ নন, যিনি আদালতের দ্বারা দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন এবং বিধানসভার সদস্য হওয়ার অধিকার হারিয়েছেন। অথচ উচ্চ আদালতে যাওয়ার পরিবর্তে রাহুল এই মুহূর্তে শোরগোল ফেলে দিয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরি করার চেষ্টা করছেন।
আরও পড়ুন: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর আরও কঠিন জায়গা হয়ে উঠেছে বিশ্ব! মত এস জয়শঙ্করের
আর নিজের ভাগ্যের জন্য মোদির উপরেই দায় চাপাচ্ছেন। আর তা নিয়ে কংগ্রেস ভুল ধারণা ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এর পাশাপাশি ১৭ জন দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতার উদাহরণও তুলে ধরেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এই তালিকায় তিনি উল্লেখ করেছেন লালু প্রসাদ, জে. জয়ললিতা এবং রাশিদ আলভির কথা। যাঁরা ইউপিএ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সুপ্রিম কোর্টের একটি আদেশে সদস্যপদ হারিয়েছিলেন। অথচ সেই সময় কালো পোশাক পরে তো কেউ প্রতিবাদ করেননি। এমনটাই জানিয়েছেন শাহ।