উড়ানের পরিভাষায় কোঝিকোড় ‘টেবলটপ’ বিমানবন্দর। এই ধরনের বিমানবন্দরের ক্ষেত্রে রানওয়ে থাকে পাহাড় বা মালভূমির উপরে। তার পরেই থাকে গভীর খাদ। ফলে এই ধরনের বিমানবন্দরে বিমান নামানো কঠিন। কোঝিকোড় বিমানবন্দরের সুরক্ষার মান নিয়ে ২০১৯ সালে প্রশ্ন তুলেছিল ডিজিসিএ। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে শো-কজ নোটিসও দেওয়া হয়। বিমানমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত করবে বিমান মন্ত্রকের এয়ার অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো ৷ গত বছরও ম্যাঙ্গালোরে দুবাই থেকে আসা এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের একটি বিমান রানওয়ে থেকে পিছলে যায়। তবে সে যাত্রায় যাত্রী ও বিমানকর্মীরা বেঁচে গিয়েছিলেন ৷ টেবল টপ মাউন্টেনের উপর থাকা যে কোনও রানওয়েই বিপজ্জনক ৷ বিশেষ করে বৃষ্টি-বাদলার দিনে ৷ বেশ কয়েকটি বড়সড় দুর্ঘটনার পরও কেন সরকার এ ব্যাপারে নড়ে চড়ে বসছে না ৷ উঠছে সেই প্রশ্নই ৷
advertisement
শুক্রবার সন্ধ্যায় কেরলের কোঝিকোড়ে অবতরণের সময় রানওয়েতে পিছলে গিয়ে প্রায় দু’টুকরো হয়ে যায় এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের IX 1344 বিমানটি ৷ দুবাই থেকে কোঝিকোড় (কালিকাট)-এর উদ্দেশ্যে শুক্রবার বিকেলে ১৮৪ জন যাত্রী ও ৭ জন বিমানকর্মী-সহ মোট ১৯১ জনকে নিয়ে রওনা দেয় এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের ‘বন্দে ভারত’ মিশনের অন্তর্গত ওই বিমান ৷
বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএ জানিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭.৪১ মিনিট নাগাদ কোঝিকোড়ে পৌঁছয় বিমানটি ৷ কিন্তু ল্যান্ডিংয়ের সময়েই ঘটে বিপত্তি ৷ কোঝিকোড়ের টেবলটপ মাউন্টেন রানওয়ে বরাবরই বিমান ওঠানামার জন্য বিপজ্জনক ৷ শেষপর্যন্ত শুক্রবার সারা দিন ধরে চলা তুমুল বৃষ্টিতে আর ‘সেফ ল্যান্ডিং’ করতে পারেননি পাইলট ক্যাপ্টেন দীপক বসন্ত সাঠে ৷ ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর ৷ দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পাইলট-সহ ১৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে ৷ আহতের সংখ্যা ১২০ ৷