সূত্রের খবর অনুযায়ী, তিন সেনাবিভাগের প্রধান ১৪ জুন এক সাংবাদিক সম্মেলনে অগ্নিপথ মিলিটারি রিক্রুটমেন্ট স্কিমের সূচনা করবেন। সেনা প্রধানরা গত দুই সপ্তাহ আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) এই বিষয়টি নিয়ে সম্পূর্ণ তথ্য জানান।
advertisement
এই প্রকল্পের আওতায় অগ্নিপথ রিক্রুটমেন্ট স্কিম স্বল্পমেয়াদের ভিত্তিতে আরও বেশি সংখ্যক সৈন্য অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা করেছে। ডিপার্টমেন্ট অফ মিলিটারি অ্যাফেয়ার্সের (Department of Military Affairs) পরিকল্পনায় ও পরিচালনায় এই স্কিমটি বাস্তবায়িত করা হবে। এই প্রকল্পের অধীনে প্রার্থীরা প্রতিরক্ষা বাহিনীতে যোগদান করবেন। তবে শুধুমাত্র চার বছরের জন্য তাঁদের কর্মধারা অব্যাহত থাকবে। সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, এই স্কিমটির প্রধান লক্ষ্য হবে তরুণ প্রার্থীদের আরও বেশি করে সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করতে উৎসাহিত করা।
তবে অনেকেই মনে করছেন এই প্রকল্পটি আসলে সরকারের ব্যয় হ্রাস এবং প্রতিরক্ষা বাহিনীতে কম বয়সীদের যোগাদান করানোর প্রচেষ্টার একটি অংশ। চার বছরের শেষে মোট সংখ্যার প্রায় ৮০ শতাংশ সৈন্য দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পাবেন এবং এতে আরও কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন Out of the Box Course: IIT Madras-এ পড়ার সুযোগ রয়েছে, কীভাবে করবেন আবেদন? জানুন
এর পরবর্তীতে বেশ কিছু কর্পোরেশনে এমন প্রশিক্ষিত এবং সুশৃঙ্খল যুবকদের চাহিদা তৈরি হবে যাঁরা একদা তাঁদের দেশের সেবা করেছেন। সশস্ত্র বাহিনীর প্রাথমিক অনুমান অনুযায়ী যদি ট্যুর অফ ডিউটি স্কিমের অধীনে এই কাজ সাফল্য পায় তবে প্রচুর সংখ্যক সেনাদের বেতন, ভাতা এবং পেনশনে হাজার হাজার কোটি টাকা সঞ্চয় হবে।
এছাড়া নিয়োগপ্রাপ্ত যুবকদের মধ্যে যাঁরা অসাধারণ সাফল্য দেখাতে পারবেন, তাঁরা কাজ চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেতে পারেন। সেনাবাহিনীর তরফে আরও জানানো হয়েছে যে, এই মডেলটি ভারতে চালু করার আগে ডিএমএ থেকে আটটি দেশে একই ধরনের নিয়োগের মডেল ভালো করে অধ্যয়ন করা হয়েছে। সেখানে এই মডেলের সাফল্যই তাদের অনুপ্রেরণা দিয়েছে।