আরও পড়ুন- হাসপাতাল-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সাবধান! বাতাসের মাধ্যমে ছড়াচ্ছে করোনাভাইরাস: গবেষণা
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, উত্তর-পশ্চিম ভারতে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার উপস্থিতির কারণে গত ২-৩ দিনে তাপপ্রবাহ কমেছে এবং আবহাওয়ার এই পরিস্থিতি আগামী দুই দিন অব্যাহত থাকতে পারে। “তবে, রাজস্থানে নতুন করে তাপপ্রবাহ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং বিদর্ভে বিচ্ছিন্ন তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি শুরু হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে,” বলেন IMD-র মহাপরিচালক মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র।
advertisement
ঘূর্ণিঝড় প্রভাবে শুক্রবারের মধ্যে দক্ষিণ আন্দামান সাগর এবং এর আশেপাশের এলাকার উপর একটি নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হতে পারে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিম্নচাপ তীব্র হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, ওড়িশা সরকারকে জানিয়েছে আবহওয়া দফতর। “আজ নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে বিচ্ছিন্ন জায়গায় ভারী বৃষ্টিপাতের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে এবং ৬-৮ মে-র মধ্যে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে বিচ্ছিন্ন জায়গায় ভারী থেকে খুব ভারী বৃষ্টিপাতের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে,” জানিয়েছে IMD৷
মৎস্যজীবীদের আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে আন্দামান সাগরে, পরবর্তী চার দিনের মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব ও পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে এবং ৮-৯ মে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আইএমডি আরও জানিয়েছে, বিহার, ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ-সিকিম এবং ওড়িশায় আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে বিক্ষিপ্ত থেকে বিচ্ছিন্ন হালকা/মাঝারি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিচ্ছিন্ন বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়/বজ্রপাত/ঝোড়ো হাওয়া যার গতিবেগ ৪০-৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় দেখা দিতে পারে।
আরও পড়ুন- ছবিতে লুকনো রয়েছে ১৩ খানা মুখ! দেখুন তো, ক'টা খুঁজে পাচ্ছেন আপনি?
বৃহস্পতিবার দিল্লির সকাল ছিল মনোরম। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়েও দুই ডিগ্রি কম। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার অনুপস্থিতি এবং স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টির কারণে ১৯৫১ সালের পর থেকে এই বছরের দ্বিতীয়-উষ্ণতম এপ্রিলের রেকর্ড গড়েছে।
সর্বাধিক তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি এবং স্বাভাবিকের থেকে কমপক্ষে ৪.৫ ডিগ্রি বেশি হলে তাপপ্রবাহ ঘোষণা করা হয়।