অভিষেকের কথায়, 'কংগ্রেসের আদর্শ কী জানতে চাই। কেরলে ওরা সিপিএমের সঙ্গে লড়াই করছে। আবার ত্রিপুরা ও বাংলায় সিপিএমের সঙ্গে জোট। এর মানে কী? দ্বিচারিতা না করে আগে কংগ্রেস নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করুক ।' একই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, 'তৃণমূল যদি বিজেপির বি টিম হত, তাহলে মোদি-অমিত শাহকে তৃণমূল যেভাবে আক্রমণ করেছে তা করত না। বিজেপি-শাসিত রাজ্যেই আমরা গিয়েছি। কংগ্রেস রাজ্যে যাইনি। স্পষ্ট কথা অভিষেকের।' ত্রিপুরা-গোয়া-মেঘালয়ের মতো ভিন রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস যে লড়াই করবে তা বুঝিয়ে দিয়েছেন অভিষেক।
advertisement
আরও পড়ুন: পুলিশ দেখে দৌড়ে পালাতেই সন্দেহ নিশ্চিত, তল্লাশি চালাতেই চোখ কপালে! ধৃত ১
তিনি জানিয়েছেন, 'বাংলার বাইরে ত্রিপুরা-গোয়া-মেঘালয়-অসমে তৃণমূল কংগ্রেস সংগঠন করেছে। গোয়ায় ১০ শতাংশ ভোট রয়েছে আমাদের৷ ত্রিপুরায় সর্বশক্তি দিয়ে লড়েছি। আগামী দিনেও এ লড়াই চলবে। আমরা এসব জায়গায় শূন্য থেকে শুরু করেছি। আমাদের হারানোর কিছু নেই। আর মেঘালয়ে আমরা সরকার গড়ব। সেখানে একক বৃহত্তম দল হবে তৃণমূল কংগ্রেস।' অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের দাবি, 'দল বড় করাই আমার কাজ। ২০১২-এর জুন মাসে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়ার দু'দিন পর একটি সাংবাদিক বৈঠক করে আমি জানিয়ে দিয়েছিলাম, বিভিন্ন রাজ্যে দলকে বিস্তার করব। সংগঠন বাড়ানোর দিকে আমি নজর দিয়েছি। তাই করব। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার বাসনা আমার নেই।'
আরও পড়ুন: অনুব্রত ছাড়া বীরভূম সামলাবে কে? চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বিরাট ঘোষণা মমতার! কেঁপে গেল বাংলা
তবে এখন থেকেই লোকসভার প্রস্তুতি শুরু করে দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। তিনি জানিয়েছেন, '২০২৪-এ কার কী ভূমিকা হবে তা জনগণ ঠিক করবে। এটুকু বলতে পারি এখনই ভোট হলে তৃণমূল কংগ্রেস তৈরি। আর নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী গোটা দেশে।' তৃণমূল কংগ্রেস রাজনৈতিক ইস্যুতে কথা বলে। দুর্নীতি প্রসঙ্গেও অভিষেকের অবস্থান, 'দুর্নীতির প্রশ্নে জিরো টলারেন্স নীতি দলের। যারা এরকম করেছে তাদের আমরা সরিয়ে দিয়েছি। আইন আইনের পথে চলবে। কিন্তু দুর্নীতি করে বিজেপিতে গেলেই সাধুপুরুষ। সে তখন ওয়াশিং মেশিনে পরিষ্কার। কাউকে দেখা গেছে ক্যামেরার সামনে হাত পেতে টাকা নিতে। তাদের বিরুদ্ধে তো কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কারণ সে বিজেপিতে আছে। তবে ধমকে চমকে তৃণমূল কংগ্রেস বা আমাকে আটকানো যাবে না। শিরদাঁড়া সোজা রেখে মাথা উঁচু করেই তৃণমূল কংগ্রেস লড়বে।'