অগ্নিবীররা যাতে সাধারণ বা অন্যান্যভাবে উচ্চমাধ্যমিক পাস শংসাপত্র পেতে পারেন, তার ব্যবস্থা করতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিভাগীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মাধ্যমিক পাস করলেই অগ্নিবীর পদে চাকরির আবেদন করা যাবে।
অগ্নিপথ নিয়ে দেশজুড়ে বিক্ষোভের আগুন জ্বলেছে। মাত্র ৪ বছরের জন্য সেনাবাহিনীতে নিয়োগ, সরকারের ব্যয় কমাতেই আনা হয়েছে বলে দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।
advertisement
আরও পড়ুন: সঙ্গীত দুনিয়ায় ফের নক্ষত্র পতন, প্রয়াত গজলশিল্পী ভূপিন্দর সিং!
এই প্রকল্পের আওতায় অগ্নিপথ রিক্রুটমেন্ট স্কিম স্বল্পমেয়াদের ভিত্তিতে আরও বেশি সংখ্যক সৈন্য অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা করেছে। এই স্কিমের আওতায় চার বছরের শেষে মোট সংখ্যার প্রায় ৮০ শতাংশ সৈন্য দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পাবে এবং এতে আরও কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা। এই ঘোষণার পর থেকেই দেশজুড়ে তীব্র আন্দোলনে নেমেছিল যুবকরা।
আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল পদে শপথ নিলেন লা গণেশন, ফুল-উত্তরীয়তে স্বাগত মুখ্যমন্ত্রীর
দেশ জুড়ে অগ্নিপথের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বৃদ্ধি পেলেও, দেশের তিন পরিষেবার প্রধানরা এই নতুন নিয়োগ পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। অনেকেই মনে করেছেন এই প্রকল্পটি আসলে সরকারের ব্যয় হ্রাস এবং প্রতিরক্ষা বাহিনীতে কম বয়সীদের যোগাদান করানোর প্রচেষ্টার একটি অংশ। সর্বদল বৈঠকেও অগ্নিপথ প্রসঙ্গ তুলেছিল বিরোধীরা।
ফলে বাদল অধিবেশনে অগ্নিপথ যে বিরোধীদের একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হয়ে উঠবে তার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল। সেই মত সংসদের অধিবেশনের প্রথম দিনেই উঠে এল অগ্নিপথ প্রসঙ্গ। আগামীদিনগুলিতে এই নিয়ে বিরোধী সুর আরও সপ্তমে চড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।