একটানা সাত ঘণ্টা ফ্রিজারের হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় বেঁচে ছিলেন যুবক। পরে ভুল ধরা পড়ায় তাঁকে উদ্ধার করে ফের নিয়ে যাওয়া হয় জেলা হাসপাতালে। তবে এ বার চিকিৎসকেরা চার দিন ধরে চেষ্টা চালিয়েও বাঁচাতে পারলেন না ওই যুবককে। মৃত্যু হয়েছে শ্রীকেশ কুমার নামে ওই যুবকের।
advertisement
মোরাদাবাদে একটি দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম অবস্থায় এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ৷ দেহের ময়নাতদন্ত করার জন্য মর্গে পাঠিয়েও দেওয়া হয় ৷ সেখানে দেহ ফ্রিজারে রাখা হয় প্রায় সাত ঘণ্টা ধরে ৷ এরপরেই বোঝা যায়, কী সাংঘাতিক কাণ্ডটাই না ঘটে গিয়েছে ৷ ফ্রিজার থেকে বের করে ব্যক্তির চিকিৎসা শুরু হয় ৷
কিন্তু কী ভাবে এত বড় একটা ভুল হয়ে গেল চিকিৎসকদের থেকে ! তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন ৷ একটি প্রাইভেট মেডিক্যাল সেন্টারে দুর্ঘটনার পর প্রথমে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানকার চিকিৎসকরা ওই ব্যক্তিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ৷ তবে তার থেকেও বেশি তাজ্জবের বিষয় হল, সাত ঘণ্টা ধরে ফ্রিজারে থাকার পরেও কীভাবে বেঁচে ছিলেন ওই ব্যক্তি ৷ আসলে মৃত্যুর সময় না ঘনিয়ে এলে হয়তো এমনটাই হয় ৷ কারণ ওই অবস্থা থেকে জীবিত ফেরা একপ্রকার অসম্ভবই বলা যেতে পারে ৷ শেষপর্যন্ত অবশ্য শ্রীকেশ কুমারকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি ৷
আরও পড়ুন- ম্যাগিতে ঢালা হচ্ছে ফ্যান্টা ! বিশেষ ধরনের এই ডিশ খেতে কেমন ? দেখুন ভাইরাল ভিডিও
ঘটনার তদন্ত হবে বলে আশ্বাস মোরাদাবাদ জেলা হাসপাতালের। দুর্ঘটনার পরে যে চিকিৎসক প্রথম দেখেন শ্রীকেশকে, তাঁর বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে যুবকের পরিবার।