মধ্যপ্রদেশের ভিণ্ড জেলার মদনমোহন জৈন নামের ওই বৃদ্ধ অন্যান্য বন্ধুদের সঙ্গে ১ জুলাই গুজরাতের জুনাগড়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন। জুনাগড়ের গিরনার তীর্থে যান। ৫ জুলাই সকালে গিরনারের অম্বাজী মন্দিরে দর্শনের করতে যান। মন্দিরের এক হাজারের সিঁড়িতে ওঠার পর বন্ধুদের থেকে হারিয়ে যান মদনমোহনবাবু। এবার ২০০০ সিঁড়ির ধাপ উঠে উনার ভীষণ জল তেষ্টা পায়। তারপর জলের সন্ধানে কাঁচা রাস্তায় নেমে যান মদনমোহন।
advertisement
আরও পড়ুন: উত্তর ভারতে বন্যা পরিস্থিতির জেরে বাতিল একাধিক ট্রেন, দেখে নিন আপনার ট্রেন সেই তালিকায় আছে কি না
একটি ঝরনা দেখে জল খাওয়ার জন্য এগিয়ে যান মদনমোহন। ঝরনা থেকে জল খেতে গিয়েই ঘটে চরম বিপত্তি। পা পিছলে পড়ে যান বৃদ্ধ। ২০০০ ফুট নীচে একটি খাদে পড়ে যান তিনি। নীচে ছিল জঙ্গল। তিন দিন একটি ঝোপড়ার মধ্যে আটকা পড়েছিলেন তিনি।
মদনমোহন বাবুর ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা শুনলে গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে। সেই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা নিজের মুখেই বলছিলেন মদনমোহন বাবু। ‘‘প্রায় তিনদিন আমি ঝোপড়াতে পড়ে ছিলাম। আমার গায়ের ওপর দিয়ে সাপ চলে বেড়াচ্ছিল। প্রথমে প্রচণ্ড ভয় পেয়েছিলাম। কিন্তু তারপর ঈশ্বরকে স্মরণ করে তার ভরসাতেই নিজেকে সমর্পণ করে দিলাম। তারপর হঠাৎ করে একটা শব্দ পেলাম৷ ওই আওয়াজটাই আমায় বাঁচিয়ে দিল। আমিও প্রাণপনে চিৎকার করলাম বাঁচাঁও..কিছুপরেই উদ্ধারকারী দল এসে আমায় বাঁচায়।’’