জানা গিয়েছে, অরুণাচলের কামেঙ সেক্টরের উঁচু এলাকায় তুষারধসের মুখে পড়েছিলেন ভারতীয় সেনার ওই জওয়ানরা। বেশ কয়েক দিন ধরেই ওই এলাকায় দুর্যোগ চলছিল। চলছিল প্রচুর পরিমানে তুষারপাত। সেখানেই রবিবার নিখোঁজ হয়ে যান ভারতীয় জওয়ানরা। টহলদারি চালানোর সময় প্রবল তুষারপাত শুরু হয়। এরপর থেকেই তাঁদের খোঁজ মিলছিল না।
এর পরপরই ওই সেনাদের খোঁজে শুরু হয় তল্লাশি। নিখোঁজ জওয়ানদের সন্ধানে আকাশপথে বিশেষ দল আনা হয়। অবশেষে মঙ্গলবার সেনার তরফে জানানো হল, সাত জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। যেখানে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, তার উচ্চতা সাড়ে ১৪ হাজার ফুট। গত কয়েকদিন ধরে অরুণাচল প্রদেশের ওই এলাকায় লাগাতার তুষারপাত চলছিল।
advertisement
আরও পড়ুন: ৩ মার্চ মোদির বারাণসীতে যাবেন, অখিলেশকে পাশে বসিয়ে ঘোষণা মমতার
চিন সীমান্তের কাছেই ওই এলাকা। গত কয়েকদিন ধরেই লাগাতার তুষারপাত চলছে। ওই খারাপ আবহাওয়ার মধ্যেই পাহাড়ি ওই উঁচু এলাকাতে টহল দিতে গিয়েছিলেন জওয়ানরা। সেই সময়ই আচমকা পাহাড়ের উঁচু জায়গা থেকে নেমে আসে বরফের বড় বড় চাঁই। পুরো এলাকা ঢেকে যায় বরফের পুরু আস্তরণে। ঘটনার পরেও লাগাতার ওই এলাকায় চলে তুষারপাত।
আরও পড়ুন: তৃণমূল ছেড়ে পুরভোটে নির্দল প্রার্থী? 'ওজন' বুঝিয়ে 'শাস্তি'র হুঁশিয়ারি ফিরহাদ হাকিমের
২০২০ সালের মে মাসে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। সেই সময় দুই সেনা আধিকারিকের তুষারঝড়ে মৃত্যু হয়েছিল। তাঁরা রাস্তা থেকে তুষার সরানোর কাজে যুক্ত ছিলেন। সেই বার ঘটনাটি ঘটেছিল সিকিমে। এবার তা ঘটল অরুণাচলে। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে কেন্দ্রীয় সরকার সংসদে জানিয়েছিল, ২০১৯ সালে সিয়াচেন হিমবাহে তুষারপাত এবং তুষারধসের কারণে মোট ছয়জন জওয়ান মারা গিয়েছিন। দেশের অন্যত্র এই ধরনের ঘটনায় মোট ১১ জন জওয়ান নিহত হয়েছেন।