এইসব প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছিল পুলিশ ও প্রতিবেশীদের মনে। কিন্তু তদন্ত যতই এগিয়েছে, ততই খুলেছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর পরত। অবশেষে সামনে এল এমন এক সত্য, যা শিউরে উঠিয়ে দেবে আপনাকেও—শিশুটিকে খুন করেছে তার নিজের মা! কেবল কুসংস্কারের বশে!
advertisement
গুজরাতের আহমেদাবাদে মাত্র তিন মাসের এক শিশুকে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে শিশুটির জন্মদাত্রী মাকে। পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে, কুসংস্কারের জেরেই শিশুকে হত্যা করেন তিনি।
সুন্দরী ভাইঝি, হ্যান্ডসম কাকা! কাছাকাছি আসতেই ‘স্ফুলিঙ্গ’, রাত কাটতেও মেটেনি আশ… তার পর যা হল!
শিশুটির মৃত্যুর ঘটনায় জঘন্য সত্য সামনে আসে। মায়ের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশি জেরায় অভিযুক্ত মা স্বীকার করেছে, গর্ভাবস্থার সময় থেকেই সে শিশুটিকে ঘৃণা করত। জন্মের পর আরও বিরক্ত হতে থাকে। অভিযোগ, শিশুটি প্রায়ই কান্নাকাটি করত এবং থামত না, তাই একসময় সে শিশুটিকে জলের ট্যাঙ্কে ছুড়ে ফেলে দেয়। এমনকি তার আগেও একবার শিশুটিকে বিছানা থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছিল।
শিশুর মৃতদেহ বাড়ির জলাধারে উদ্ধার হওয়ার পর দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। এরপর পুলিশ গভীর তদন্ত শুরু করে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানার জন্য। তদন্ত চলাকালীন পুলিশের সন্দেহ দানা বাঁধতে থাকে এবং জিজ্ঞাসাবাদের পর উঠে আসে মর্মান্তিক সত্য।
বাড়িতে থাকা সত্ত্বেও শিশুটি জলের ট্যাঙ্কে কী ভাবে পড়ল, তা নিয়েই ওঠে প্রশ্ন!
শিশুটির বাবা, মা এবং ঠাকুমা বাড়িতে উপস্থিত থাকলেও কী ভাবে সে জলের ট্যাঙ্কে পড়ে গেল, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তদন্তে উঠে আসে, শিশুর মা বাথরুমে যাওয়ার অজুহাত দেয়। তখনই শিশুটি ‘হঠাৎ’ উধাও হয়ে যায়। বাবাও তখন ঘুমোচ্ছিলেন। এরপরই পুলিশের সন্দেহ দৃঢ় হয় এবং তদন্তে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
জানা গিয়েছে, মেঘনানগরের যে পরিবারটিতে এই ঘটনা ঘটেছে, তারা মূলত আগ্রার বাসিন্দা। প্রায় দেড় বছর আগে করিশ্মা এবং দিলীপের বিয়ে হয়। তিন মাস আগে তাঁদের প্রথম সন্তানের জন্ম হয়।