অর্থাৎ দীর্ঘায়ু পেতে চাইলে এবং আনন্দে সুস্থ ভাবে বাঁচার জন্য পুষ্টিকর খাবার খেয়ে যেতে হবে। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনও করতে হবে।
রাজস্থানের নগৌরের বাসিন্দা হরপেয়ারি দেবীর বয়স প্রায় ১১০ বছর। যদিও তাঁর বয়স নিয়ে একটা মতভেদ রয়েছে। কারণ অফিসিয়াল কাগজে লেখা রয়েছে হরপেয়ারি দেবীর বয়স ১০৩ বছর। কিন্তু তাঁর পরিবারের সদস্যদের দাবি, ওই বৃদ্ধার বয়স ১১০ বছর। তবে বয়স যা-ই হোক না কেন, এই বয়সেও তিনি সুস্থ এবং তরতাজা! এমনকী নিজের সমস্ত কাজ নিজে হাতেই করতে পছন্দ করেন বৃদ্ধা। কিন্তু তাঁর এই দীর্ঘায়ুর রহস্যটা ঠিক কী?
advertisement
সেই রহস্যই ফাঁস করলেন তাঁর প্রপৌত্র মণীশ গেহলোত। তাঁর কথায়, “হরপেয়ারি দেবী সব সময় বলেন যে, এত দিন বাঁচার জন্য ঠিকঠাক জীবনযাপন করতে হবে। আর সঠিক খাবার খেতে হবে। এর পাশাপাশি যতটা সম্ভব ততটা বেশি করে কাজকর্মে নিজেকে ব্যস্ত রাখা উচিত। এর মাধ্যমেই একজন মানুষ সুস্থ থাকতে পারবে। আর বারবার অসুস্থতার মুখেও পড়তে হবে না।”
আরও পড়ুন: শীতে আর্থারাইটিসের সমস্যা বাড়ে, মরণ-ব্যথা কমাতে এই গোলাপি সরবতে চুমুক দিন
মণীশ গেহলোত আরও বলেন যে, “আমরা সকলেই নগৌরে থাকি। কিন্তু আমাদের জমি-ক্ষেত রয়েছে নগৌরের থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে ভাড়ওয়াসিতে। এক সময় সেখানে প্রচুর সংস্থান ছিল না। এমনকী আজও বিশেষ নেই। ফলে প্রতিদিনকার রুটিন ছিল পায়ে হেঁটে জমিতে যাওয়া। এরপর সেখানে প্রায় ৮ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলত কাজ। এর পাশাপাশি গবাদি পশুর দেখাশোনাও ছিল রোজনামচার অংশ। আর এভাবেই শারীরিক কসরত হয়ে যেত। যা শরীর-স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সহায়ক হয়ে উঠত।”
যদিও বয়সের সঙ্গে সঙ্গে হরপেয়ারি দেবীর শ্রবণ ক্ষমতা কমে এসেছে। তবে তাঁর দৃষ্টিশক্তি এখনও পরিষ্কার। খাওয়াদাওয়ার প্রসঙ্গে মণীশের বক্তব্য, আগেকার দিনে রাবড়ি, ছাঁছ বা বাটারমিল্ক, দুধ, দই, খিচুড়ি, ঘি এবং রাজস্থানের স্থানীয় খাবারদাবার সেবন করা হত। এখন পাঁচ প্রজন্মের সঙ্গে বাস করেন সাত সন্তানের জননী হরপেয়ারি দেবী।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F