উল্লেখ্য গত ৮ জুলাই ছিল পঞ্চায়েত ভোট। নদিয়ার করিমপুর ১ নম্বর ব্লকে রিজার্ভড প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন রেবতীমোহন বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তি। তিনি হাঁসপুকুরিয়া বিদ্যাপীঠের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন বলে জানা যায় পরিবার সূত্রে। গত ৮ জুলাই তাঁর সেরিব্রাল অ্যাটাক হয়, এর পর ১২ জুলাই মৃত্যু হয়। পরিবারের অভিযোগ ভোটকেন্দ্রে কেন্দ্রীয় বাহিনি মোতায়ন ছিল না বলেই নিজের নিরাপত্তাজনিত কারণে দুশ্চিন্তায় সেরিব্রাল অ্যাটাক হয় রেবতীমোহনের।
advertisement
সূত্র মারফত জানা যায়, পেশায় স্কুল শিক্ষক রেবতীমোহন বাবুর নির্বাচনের আগে থেকেই শারীরিক বেশ কিছু রোগে ভুগছিলেন। পরিবার রাজি না থাকা সত্ত্বেও শোকজ হতে পারে এই ভেবে তিনি ভোটের ডিউটি করতে যান। এবং গত ৮ জুলাই ভোট শুরু হওয়ার আগেই ভোটের বুথে তাঁর সেরিব্রাল অ্যাটাক হয়। এরপর তাঁকে ভর্তি করা হয় কল্যাণী হাসপাতালে। গত বুধবার মৃত্যু হয় তাঁর।
মৃতের শ্যালক সুজন বিশ্বাস জানান, ” আমার জামাইবাবু প্রিসাইডিং অফিসার হয়ে রিজার্ভে ছিলেন। ইলেকশনের ডিউটিতে আমরা যেতে বারণ করেছিলাম। উনি জোর করেই গিয়েছিলেন। এর পর করিমপুরে ডিসি আরসি সেন্টারে যান তিনি। পঞ্চায়েত নির্বাচনে সকলেই জানে কী কী হয়েছে। সবারই একটা আতঙ্ক থাকে। তার উপর ওঁর সঙ্গে সেন্ট্রাল বাহিনি দেয়নি। সেই কারণে মানসিক চাপে ছিলেন তিনি। এবং সেই মানসিক উদ্বেগেই আমার জামাইবাবু মারা গিয়েছেন। আমার দিদি এবং সঙ্গে তাঁর একটি ১৩ বছরের কন্যাসন্তান রয়েছে। সরকার যদি আমার দিদির একটা ব্যবস্থা করেন তাহলে উপকার হয়।”
স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবার-সহ আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে। বৃহস্পতিবার নবদ্বীপ শ্মশানে ওই প্রিসাইডিং অফিসারের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।