“মিলন হবে কত দিনে… আমার মনের মানুষেরই সনে…” প্রসবকালীন অস্ত্রোপচারের সময় খোদ পেশেন্ট ডাক্তারের অনুরোধে শোনালেন নিজের গলায় গান। এদিন, শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে গাইনোকোলজিস্ট ডঃ পবিত্র ব্যাপারীর হাতে ঘটে চমৎকার!
শান্তিপুর হরিপুর এলাকার সঙ্গীত শিল্পী গৌতম মণ্ডল! তাঁর স্ত্রী চন্দ্রা পোদ্দার মণ্ডলের প্রচন্ড রক্তক্ষরণ শুরু হয়। রাতে ভর্তি করা হয় শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। পূর্বের চিকিৎসা কাগজপত্র দেখে, হাসপাতাল থেকে জানানো হয় রোগীর কমপ্লিট প্লাসেন্টা প্লিডিয়া অর্থাৎ জরায়ুর ফুল প্রসব পথের মুখে আটকে রয়েছে। এ ধরনের অপারেশনে প্রচুর পরিমাণে রক্তক্ষরণ হওয়ার সম্ভাবনার কারণে ব্লাড ব্যাংক-হীন শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে, অপারেশন করানো যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ।
advertisement
আরও পড়ুন: বর্ষাকালে মাত্র পাঁচ মিনিটে শুকিয়ে যাবে ভিজে কাপড়! বাড়িতে রাখুন এই বিশেষ জিনিস! জানুন
তবে রোগীর স্বামী গৌতম বাবু এই হাসপাতালে ডক্টর ব্যাপারীর একের পর এক সাফল্যের কথা জানতেন, আর সেই কারণেই তিনি অন্য কোথাও না গিয়ে এই হাসপাতালের উপরেই ভরসা রাখেন। ডক্টর ব্যাপারী হাসপাতাল সুপারিন্টেন্ড ডক্টর তারক বর্মনের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে, নিজের সংগ্রহের রক্তক্ষরণ কম হওয়ার ইনজেকশন দিয়ে রক্ত জোগান রাখতে বলেন পরিবারকে। আজ দুপুর একটা নাগাদ , সফলভাবে অস্ত্রপ্রচার সম্ভব হয়, এবং সম্পূর্ণ সুস্থ স্বাভাবিক কন্যা সন্তান জন্ম নেয়।
আরও পড়ুন:
নবজাতকের বাবা গৌতম বাবু ডঃ ব্যাপারীকে ভগবান আখ্যায়িত করেছেন, শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে অস্ত্র প্রচারের সময় তার স্ত্রীর গান গাওয়া ওটির বিভিন্ন স্টাফের মুখ থেকে শুনে, তিনি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। বলেন এসব বিদেশে সম্ভব হয় জানতাম, তবে আমাদের হাসপাতালে এ ধরনের ঘটনা বিরল এবং আশ্চর্যের। ডাক্তারবাবু অবশ্য এই সফলতার পেছনে অ্যানাস্থিসিস ডক্টর টিনা মনি বিশ্বাস, গাইনি ওটি ফুল টিম সিস্টার স্টাফ এবং মেটারনিক ওয়ার্ডের সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের মিলিত প্রচেষ্টা বলেই জানিয়েছেন। তবে গান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, স্নায়বিক চাপ মুক্ত রাখতে রোগীর সঙ্গে অস্ত্রপ্রচারের সময় কথা বলেন। গান কবিতা জানা থাকলে, শুনতে চান, কিন্তু আজকের চন্দ্রার গান তাকে মুগ্ধ করেছে। গানের লাইন অনুযায়ী তিনি বলেন চন্দ্রার সঙ্গে তার মনের মানুষ অর্থাৎ কন্যা সন্তানের মিলন হয়েছে, তাই নবজাতকের নামকরণ করেছি “আত্মজা”।
Mainak Debnath