১৯৯৫ সালে তিনি দলের সদস্য পদ লাভ করেন। রাজ্যের শাসন ক্ষমতা থাকাকালীন দীর্ঘদিন রাজনীতি করেছেন তিনি। পালাবদলের পরও হাল ছাড়েননি। সেই ফলস্বরূপ এবারের শান্তিপুর আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডে দল তাকে প্রার্থী করেছে। প্রথমে তাঁত শ্রমিক ছিলেন। তার পরিবার বরাবরই আর্থিক দিক থেকে তেমন সচ্ছল ছিল না। পরবর্তীকালে তিনি টোটো কিনে টোটো চালান, যা উপার্জন হয় তা দিয়ে সংসার চালান। প্রার্থীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সংসার চালানোর জন্য তাকে টোটো চালাতে হচ্ছে। বাকি যে সময়টা পান কর্মী সমর্থকদের নিয়ে প্রচারে বেরিয়ে পড়েন। (Nadia News)
advertisement
সাধারণ মানুষের খুব ভালো সাড়া পাচ্ছেন বলেও জানান তিনি। বিরোধীদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "যারা আমার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে তারা সকলেই বন্ধু। মানুষ যাকে পছন্দ করবে সেই জিতবে। কিন্তু এবারের ভোটে যা সমর্থন পাচ্ছি আমি জয়লাভ করবো আর সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে তাদের সুখ-দুঃখের সাথী হয়ে থাকব।" তিনি জানান, "লড়াইটা হাড্ডাহাড্ডি হবে। কারণ বর্তমানে যা পরিস্থিতি তার ওপর নির্ভর করেই পার্টি আমাকে মনোনীত করেছে। সাধারণ মানুষ আমার সাথে থাকবেন। প্রার্থী হবার আগেই মানুষের সুবিধা অসুবিধাও যখনই আমাকে ডেকেছেন, পেয়েছেন। আমি চাই পৌরসভা নির্বাচনে জিতে মানুষের জন্যে আরো বেশি করে কাজ করতে।" (Nadia News)
সকাল আটটায় তিনি বের হন প্রচারের জন্য। আটটা থেকে বেলা ১১টা অবধি প্রচার করেন। তারপর ১১ টার সময় টোটো নিয়ে বের হয়ে যান রোজগারের আশায়। তারপর বিকেল পাঁচ টা থেকে রাত নটা পর্যন্ত প্রচার সেরে বাড়ি ফেরেন তিনি। ভোটে জিতে সাধারণ মানুষের উপকার করাই লক্ষ্য টোটো চালক সরোজ দাসের। (Nadia News)
Mainak Debnath