মাঝে মাত্র কয়েকটা বছর, সে সময় শুধুমাত্র এই অফিসে ১৮ জন পার্মানেন্ট সরকারি কর্মচারী কাজ করতেন, ক্যাজুয়াল তো ছিলই। আর বর্তমানে? চারটি ইউনিট দেখাশোনা করেন মাত্র ১২ জন ঠিকা কর্মী।
আজকের মতো বিশ্বকর্মা পুজোর দিনে, বড় বড় উঁচু পোস্টের সরকারি আধিকারিকরা আসতেন পুজো দেখতে। গ্রাহক থেকে শুরু করে পথ চলতি সাধারণ মানুষকে সাধের সঙ্গে রীতিমতো মধ্যাহ্নভোজ করানো হত। আজ সবই অতীত, এমনই নানা স্মৃতি কথা শোনালেন ১৯৮৮ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ৩০ বছর যাবৎ কাল ধরে স্থায়ী চাকরি করা কর্মী কানাই লাল সরকার।
advertisement
তিনি বলেন, “বিশ্বকর্মা ঠাকুরের কাছে একটাই প্রার্থনা, কেন্দ্রীয় সরকারের মতিগতি পরিবর্তিত করুন। বিএসএনএলের প্রতি মনোযোগী হয়ে ফিরুক সাবেকী জৌলুস।”
আরও পড়ুন: সুবর্ণ সুযোগ! এসবিআইয়ের অধীনে ৪৩৯ শূন্যপদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি; বিশদ জানতে পড়ুন
বর্তমানে কাজ করা অপর এক ঠিকা কর্মী বিএসএনএল ঠিকা মজদুর ইউনিয়নের সদস্য প্রশান্ত পাল বলেন, “বিএসএনএল-এর ফাইভ-জি লাইসেন্স পেয়ে প্রাইভেট সংস্থাগুলি রমরমা ব্যবসা করে ফুলে ফেঁপে উঠছে, আর বিএসএনএল নিজে এখনও ফোরজি চালু করতে পারল না। বিএসএনএলকে শেষ করে দেওয়ার পরিকল্পনা। কারণ শেয়ার বিক্রি করতে না পেরে, স্থায়ী কর্মচারীদের ২০১৭ সালের পে কমিশন, পেনশন মেডিক্যাল এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা যাতে দিতে না হয়, ক্যাজুয়াল কর্মীদের যাতে স্থায়ী না করতে হয় তার জন্যই পরিকল্পনা মাফিক গাফিলতি।”
তবে ভবনের জৌলুস হারালেও, পুজোয় আন্তরিকতার ভাটা পড়েনি এতটুকু। সংখ্যা কম হলেও নিজেরাই একদিন মিলিত হন পরিবার নিয়ে, প্রার্থনা করেন দিনবদলের।
Mainak Debnath






