সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় (Soumitra Chatterjee) এর সাথে নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগরের যোগাযোগ প্রত্যক্ষ ভাবে রয়েছে। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের ছেলেবেলা কেটেছিল এই কৃষ্ণনগর শহরেই। তবে এখনো তার সম্পূর্ণ স্মৃতিটুকু মুছে যায়নি। তিনি চলে গেলেও তাঁর প্রিয় বান্ধবী সন্ধ্যা মজুমদার রয়ে গেছেন এই কৃষ্ণনগর শহরেই।
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের(Soumitra Chatterjee) কোন স্মৃতি তিনি আজও ভুলতে পারেননি। চোখ মুছতে মুছতে পুরনো স্মৃতি আজও আরো একবার মনে করিয়ে দিল কৃষ্ণনগর কাঠুরিয়া পাড়ার সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রিয় বান্ধবী সন্ধ্যা মজুমদারকে। পলু বেঁচে থাকলে হয়তো নিয়মিত তার খোঁজ খবর নিত। গলফ গ্রীন এর বাড়িতে যেতে বলতো। সে আর নেই তাই সন্ধ্যা দেবীকে খোঁজখবর নেওয়ার মত আর কেউ নেই।
advertisement
ছাত্রাবস্থায় দশটি বছর কৃষ্ণনগর শহরের কেটেছিল সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের(Soumitra Chatterjee)। বন্ধুর সাথে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। সারাটা দিন জামা কাপড় বইপত্র কাগজে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা খাটের মধ্যে বসে থাকেন সন্ধ্যা দেবী অর্থাৎ সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী বুবু।
বয়স তাঁকে গ্রাস করলেও পলুর কোনও স্মৃতিই তিনি ভুলতে পারেনি। ছাত্রজীবন থেকে শুরু করে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের বৈবাহিক জীবন পর্যন্ত সমস্ত ঘটনা তাঁর মনে গেঁথে রয়েছে। পলুর জন্যই অনেক চিত্রাভিনেতা থেকে শুরু করে পরিচালকের সাথে তার আলাপ হয়েছে।
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়(Soumitra Chatterjee) মারা যাওয়ার দু'মাস আগেও তার ভাইকে বান্ধবীর খোঁজ নিতে পাঠিয়েছিল কৃষ্ণনগরে। বুবু কেমন আছে? তার কোন টাকা পয়সা লাগবে কিনা জানবার জন্য। প্রতি সপ্তাহে ফোনে কথা হত পলুর সাথে বুবুর।
সৌমিত্র(Soumitra Chatterjee) জায়া দীপা তার সাথেও সুমধুর সম্পর্ক ছিল বুবুর অর্থাৎ সন্ধ্যা দেবীর। আজও বন্ধু পলুর জন্য রাতে ঘুমাতে পারেন না বুবু। আজও প্রতিনিয়ত সৌমিত্র বাবুর সমস্ত স্মৃতি তার কাছে জ্বলজ্বল করছে। এত বড় অভিনেতা হলেও কোন দাম্ভিকতা ছিলনা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের জানান সন্ধ্যা দেবী। আলমারি থেকে টাকা বের করে দেওয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে বান্ধবীর প্রতি তার অগাধ আস্থা ভরসা ছিল। ছিল পারিবারিক সম্পর্কও। পলু কৃষ্ণনগরে এলে সশরীরে বাড়িতে হাজির হতে না পারলেও ফোন করে খবর নিত প্রিয় বান্ধবীর। সেই নিবিড় বন্ধুত্বের সম্পর্কে আজ সবকিছুই যেন বিলীন হয়ে এসেছে।
মৈনাক দেবনাথ