অবরোধের কারণ হিসাবে জানা গিয়েছে, দীর্ঘ দিন ধরেই সকাল ৮.৩৫ সময়ে একটি রানাঘাট লোকাল ছাড়তো। এখনো সেই সময়েই ছাড়ে। কখনো ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে, আবার কখনো ৬ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে। এই ট্রেনে রানাঘাট ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষেরা সিট পেয়ে বসে যেতে পারতো।
আরও পড়ুন- মেরুদন্ডের জটিল অস্ত্রোপচারে সফল! নজির গড়ল নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতাল
advertisement
কিন্তু করোনার সময় থেকে লালগোলা থেকে আসা একটি মেমুকে রানাঘাট লোকালে রুপান্তরিত করে ২ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে শিয়ালদহ অভিমুখে রওনা করাতো রেল। এই নিয়ে মাস কয়েক আগেও একবার রেল অবরোধ হয়। নিত্যযাত্রীদের আরো অভিযোগ, লালগোলার ট্রেনগুলিতে এমনিতেই নোংড়া থাকে। তার উপর ওই ট্রেনে আগে থেকেই প্যাসেঞ্জার থাকে। এর ফলে বসার সিট না পেয়ে স্থানীয় নিত্যযাত্রীদের দাঁড়িয়ে যেতে হয়।
আরও পড়ুন- এবার জামাইষষ্ঠীতে কী সাধ্যের মধ্যে মিলবে ইলিশ? কী বলছেন বিক্রেতারা?
রানাঘাটের স্টেশন মাস্টারকে জানিয়েও এর সুরাহা হয়নি। নিত্যযাত্রীদের ভোগান্তি লেগেই থাকছে। বুধবার নিত্যযাত্রীরা স্টেশন মাস্টারের কাছে এই অভিযোগ পুনরায় জানাতে গেলে, স্টেশন মাস্টার তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ। এরপরই শুরু হয় রেল অবরোধ।
দু ঘণ্টা রেল অবরোধ চলার ফলে শিয়ালদহ অভিমুখের এবং লালগোলা, শান্তিপুর, কৃষ্ণনগর অভিমুখের সব ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকে বিভিন্ন রেল স্টেশনে। সমস্যায় পরেন অনেক যাত্রী। এই ঘটনায় রেল পুলিশ বারংবার অবরোধ তোলার আবেদন জানিয়েও লাভ হয়নি। এরপর দু'জন মহিলা আন্দোলনকারী সহ মোট সাত জনকে গ্রেফতার করেছে রেল পুলিশ। এবং তাদের বিরুদ্ধে রেলের ধারা অনুযায়ী বেশ কিছু মামলা রুজু করা হয়েছে বলে খবর।
Mainak Debnath