জানা গিয়েছে, ওই গৃহবধুর বাড়ি রানাঘাট থানার অন্তর্গত তারাপুর এলাকায়। গৃহবধূর স্বামী কলকাতায় সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় নিজের সন্তানকে নিয়ে গৃহবধূ একাই থাকতেন বাড়িতে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, জানা যায় গৃহবধূ স্থানীয় এক যুবককে ধারালো অস্ত্রের কোপ মারে। তবে হঠাৎ করে কী কারণবশত এই কোপ তিনি মারলেন তা জানার চেষ্টা করতেই উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।
advertisement
গৃহবধূর পরিবার সূত্রে জানা যায়, স্বামীর অবর্তমানে বাড়িতে কেউ না থাকায় আক্রান্ত ওই যুবক গৃহবধুর ঘরে প্রবেশ করে। গৃহবধূ তখন তার সন্তান নিয়ে একাই ছিলেন বলে জানা যায়। ওই যুবক অতর্কিতে গৃহবধূর ঘরে প্রবেশ করে। এবং গৃহবধুর পরিবারের দাবি, ঘরে একা পেয়ে ওই গৃহবধূকে অভিযুক্ত যুবক ধর্ষণের চেষ্টা করে। নিজের সম্মান বাঁচাতে ও আত্মরক্ষার কারণেই গৃহবধূ ওই যুবককে আক্রমণ করেন বলে দাবি গৃহবধুর পরিবারের।
আক্রান্ত ওই যুবককে প্রথমে রানাঘাট মহাকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখানেই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাতেই কলকাতায় চিকিৎসার জন্য স্থানান্তরিত করা হয়। যদিও এ বিষয়ে অভিযুক্ত ওই যুবকের পরিবার সূত্রে কোনও খবর এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। যুবকের চিকিৎসাজনিত কারণে তারা যুবকের সঙ্গে কলকাতায় রয়েছেন বলে সূত্রের খবর। স্বাভাবিকভাবে এই ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে গোটা এলাকায়।
তবে এলাকাবাসীদের একাংশের মতে ওই যুবক যদি সত্যিই কোনও খারাপ উদ্দেশ্যে ওই গৃহবধুর ঘরে প্রবেশ করে থাকে তাহলে ওই গৃহবধূ নিজের আত্মরক্ষার্থে উচিত কাজ করেছে বলেই মনে করছেন। তবে নিজের হাতে আইন তুলে নেওয়া কখনওই শোভা পায় না বলেও মনে করছেন স্থানীয়দের একাংশ। স্বাভাবিকভাবেই এই গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রানাঘাট থানার পুলিশ।






