পরিবার সূত্রে জানা যায়, অভিক মিত্র ২০০২ সালে কলকাতা পুলিশের কনস্টেবলে নিয়োগ হয়, এরপরেই শুরু হয় চাকরি জীবন। পরিবারে তাঁর ১৪ বছরের যমজ দুই পুত্রসন্তান রয়েছে। স্ত্রী মৌমিতা মিত্র সর্বক্ষণ সংসার সামলানোর কাজেই ব্যস্ত থাকেন। বৃহস্পতিবার রাতে স্ত্রী মৌমিতা এবং তাঁদের যমজ দুই পুত্রসন্তান খাওয়া-দাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়েন। স্বামী অভিক মিত্র জামা ইস্ত্রি করছিলেন।
advertisement
আরও পড়ুন: মাধ্যমিকের দোরগোড়ায়, পঞ্চায়েত ভোটের আগে ৭০০ কোটির প্রকল্প নিয়ে বাঁকুড়ায় মমতা! নজরে দুয়ারে সরকারও
এদিন সকাল ৮ টা ৩০ নাগাদ স্ত্রী মৌমিতা ঘুম থেকে উঠে দেখে স্বামী ঘরের ভেতরেই অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। ঘটনা জানাজানি হতেই ছুটে আসে প্রতিবেশীরা। এরপর অভিক মিত্রকে নিয়ে যায় হাসপাতালে যদিও সেখানে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃত্যুর খবর পেয়ে হতবাক হয়ে পড়েন অভিক মিত্রর স্ত্রী। কান্নায় ভেঙে পড়ে গোটা পরিবার, এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া। মৃতদেহটি উদ্ধার করে শান্তিপুর থানার পুলিশ এছাড়াও ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় মর্গে।
আরও পড়ুন: হঠাৎ করে সোনাঝুরির চায়ের দোকানে মুখ্যমন্ত্রী, চা বানিয়ে খাওয়ালেন সকলকে! দেখুন
স্ত্রী মৌমিতা মিত্রর দাবি, খুবই সৌখিন মানুষ ছিলেন অভিক মিত্র। মাঝে মধ্যেই রান্না করে খাওয়াতেন পুত্রসন্তানদের। গান-বাজনা করতেও ভালবাসতেন তিনি। পরিবারের সকলে ঘুমিয়ে পড়ার পরেও অধিক রাত পর্যন্ত অভিকবাবু গান করতেন। গতকাল রাতেও ইস্ত্রি করতে করতে গান গাইছিলেন তিনি। তবে কখন যে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এই ঘটনা ঘটল তা এখনও অজানা পরিবারের কাছে। তবে অভিক মিত্রর বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে বলেই দাবি করেন পরিবার। এখন ২১ বছরের চাকরি জীবন হঠাৎই যে এইভাবে থমকে যাবে তা ভাবতেই চোখে জল ধরে রাখতে পারছে না পরিবার।
মৈনাক দেবনাথ