তারা সমস্ত নিয়ম-নিষ্ঠা মেনে এদিন সকাল ৭টা থেকে শুরু করেছিলেন শান্তি যজ্ঞ। দেবী কালিকার সামনে দীর্ঘক্ষণ ধরে সেই যজ্ঞে প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে হাজির ছিলেন এলাকার প্রতিবেশী থেকে শুরু করে আত্মীয়-স্বজন পরিজন সকলে। এদিন রাত প্রায় ৯টা নাগাদ যজ্ঞে আহুতি দেওয়ার পর ভাত ডাল এবং সবজি সহকারে ভক্তদের প্রসাদ বিতরণ করা হয়। যজ্ঞের অন্যতম রামানন্দ ব্রহ্মচারী জানিয়েছেন, ‘‘শুধু বৃষ্টির জন্য নয়, বন্যা-সহ প্রাকৃতিক বিভিন্ন রকম বিষয় নিয়ে আমরা দেবী কালিকাকে সন্তুষ্ট করার জন্য এই যজ্ঞ করে থাকি। তবে এক্ষেত্রে প্রশ্ন থাকতেই পারে জলেশ্বর অর্থাৎ মহাদেবের উপাসনা না হয়ে দেবী কালিকার কেন?’’
advertisement
আরও পড়ুন- বৃষ্টির জন্য মহা ধুমধামে ‘ব্যাঙের বিয়ে’ ! হাজির নেতা-নেত্রী সকলেই
বিভিন্ন ধর্মীয় উপাখ্যান থেকে জানা যায়, স্ত্রীর অনুরোধ ফেলতে পারেন না, দেবাধিদেব। তাই মহাদেবকে সন্তুষ্ট করার জন্য দেবিকালিকার ভূমিকা অপরিহার্য। তাই দেবী কালিকাকে সন্তুষ্ট করার জন্যই করা হয় শান্তি যজ্ঞ। বৃষ্টি হওয়ার প্রার্থনা জানিয়ে এই যজ্ঞ করা হয়েছে। পরিবার প্রধান চিত্তরঞ্জন সরকার জানিয়েছেন, ‘‘আমাদের বিশ্বাস, আগামী দু’তিনদিনের মধ্যেই বৃষ্টি নামবে। কারণ বিগত ২০ বছর আগে এইরকমই এক সংকটময় মুহূর্তে , মায়ের আশীর্বাদ প্রাপ্ত হয়ে ধরিত্রী হয়েছিলো সিক্ত। সমগ্র প্রাণীকুল ফেলেছিল স্বস্তির নিঃশ্বাস, উদ্ভিদ হয়েছিল শস্য শ্যামলা, এবারও তাই হতে চলেছে মায়ের কৃপায়। তবে আশ্চর্য ব্যাপার, ছয় ঘণ্টা না কাটতেই আজ ভোরে খুব সামান্য পরিমাণে হলেও নদিয়ার বেশ কিছু জায়গায় বৃষ্টিপাত হয়েছে।
Mainak Debnath






