তাঁর মেয়ে মন্দিরা সরকারের কথা অনুযায়ী, গত ২০ এপ্রিল তাঁর মা মঞ্জু দেবীকে পেটের যন্ত্রণা এবং বমি নিয়ে ভর্তি করান শান্তিপুরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে। ভর্তির সময় তাঁরা জমা দেন স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। এরপর গত ২৫ তারিখ তিনি সুস্থ হলে, স্বাভাবিক বিল ২২ হাজার টাকা দেখে চক্ষু চড়ক গাছ তাঁদের। কাঁসারীপাড়ায় ৭২ বছর বয়সী মঞ্জু দত্ত, একাই থাকতেন স্বামী খগেন্দ্রনাথ দত্তের মৃত্যুর পর থেকে।
advertisement
পায়রাডাঙ্গার সুদীপ্তা সাহা, এবং শান্তিপুরের মন্দিরা সরকার দুই মেয়ে খোঁজ খবর রাখতেন মায়ের। কিন্তু স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে যে চিকিৎসার মাত্র ৬৮০০ টাকায় হওয়ার কথা, তা ২২ হাজার টাকা চাওয়ার কারণে তাঁরা পড়েন সমস্যায়। ২৫ তারিখ থেকে ২৮ তারিখ পর্যন্ত তিনদিন মাকে সুস্থ হওয়া সত্ত্বেও বাড়িতে নিয়ে আসতে পারেননি বলে অভিযোগ করেন তাঁরা। এরকম এক পরিস্থিতির মধ্যে, স্থানীয় কাউন্সিলর প্রশান্ত গোস্বামী এবং তাঁর পুত্র বিধায়ক ব্রজ কিশোর গোস্বামী শরণাপন্ন হন তাঁরা।
নার্সিংহোম মালিক প্রদীপ ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি বলেন, কার্ডটি ত্রুটিপূর্ণ। টাকা ছাড়াই একটা লিখিত দিয়ে ওই পেসেন্ট ছুটি দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে. কিন্তু আমরা বিকাল চারটে পর্যন্ত ওই পরিবারের বাড়ি যাওয়ার কোনও খবর পাইনি।
আরও পড়ুন, বাড়িতে পিঁপড়ের সমস্যায় নাজেহাল? রান্নাঘরের এই জিনিসই করে দেবে সমাধান, জেনে নিন
আরও পড়ুন, 'এটা তো সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, কে চক্রান্ত করছে!' কী ইঙ্গিত দিলেন অভিষেক
বিষয়টি নিয়ে শান্তিপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সুব্রত ঘোষকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেক সময় সিঙ্গেল কার্ড থাকলে এ ধরনের সমস্যা হয়। তবে ওনারা যদি পৌরসভার দ্বারস্থ হতেন, তাহলে আমরাই চিঠি করে বিভাগীয় দফতরে সংশোধন করার ব্যবস্থা করে দিতে পারতাম। তবে ওই পরিবার পুরসভার সঙ্গে যোগাযোগ করেননি।
Mainak Debnath