ভুল সরকারি নথির গেরোয় রোজগারের পথ খুইয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। এছাড়াও তিনি জানান স্থানীয় ব্লক অফিসের অস্থায়ী কাজ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। সংসার চালাতে দেনার ভারে ডুবে আছেন তিনি। তবুও অশক্ত শরীরে নিজেকে জীবিত প্রমাণের চেষ্টা এখনও চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান তিনি।
রবীন্দ্রনাথের অভিযোগ, তিনি কাজ করতে অসমর্থ। এই কারণ দেখিয়ে ওই কাজ থেকে সরানোর চক্রান্ত হচ্ছিল। যদিও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ২০০৩ সালে পদোন্নতি হয় রবীন্দ্রনাথের। কিন্তু কোনও এক অজানা কারণে সেই নির্দেশ ব্লক অফিসে এসেই আটকে যায়। আচমকাই কাজ হারান রবীন্দ্রনাথ।
advertisement
আরও পড়ুন: মাত্র কয়েক মিনিটেই কালো হবে পাকা চুল! হেয়ার কালার নয়! জানুন এই বিশেষ উপায়!
কাজ হারিয়ে আইনি লড়াই শুরু করেন রবীন্দ্রনাথ। একে একে বিডিও, মহকুমাশাসক, জেলাশাসক-সহ একাধিক সরকারি দফতরে ছুটেছেন। অভিযোগ করেছেন, তাঁকে অন্যায় ভাবে কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে তদন্তের আবেদন করেন। ২০০৫ সালে তৎকালীন জেলা প্রশাসন একটি তদন্তের নির্দেশ দেন। কিন্তু তার পরেই ঝটকা। রবীন্দ্রনাথের বরখাস্ত প্রসঙ্গে দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০০৫ সালে মৃত্যু হয়েছে রবীন্দ্রনাথের।
আরও পড়ুন: দক্ষিণী ছবি অস্কার পেল অথচ... বনি-বিতর্কে অকপট তাঁর ১ম নায়িকা! এখন কী করছেন তিনি
এ নিয়ে কৃষ্ণনগর এক নম্বর ব্লকের বিডিও পিন্টু ঘরামির সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘‘অনেক দিন আগের ঘটনা। তবে শুনেছি মৃত্যুর শংসাপত্র নিয়ে কোনও একটা গণ্ডগোলের জেরে একটা সমস্যা হয়েছে। সেই সময় জেলা স্তর থেকে বেশ কিছু তদন্ত হয়েছিল। এর বেশি আমি কিছু জানি না।’’
Mainak Debnath