জানা গিয়েছে, সৌরভ সরকারের মেরুদন্ডের শেষে পায়ুদ্বারের উপরে জমেছিল পুঁজ রক্ত। সেই কারণে আর পাঁচটা লোকের মত তিনি ঠিকমতো হাঁটতে পারতেন না। এই ধরনের জটিল অস্ত্রোপচার সাধারণত হয়ে থাকে মেডিকেল কলেজ কিংবা বেসরকারি বড় বড় নার্সিংহোমে। কিন্তু নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালের মতো একটি আঞ্চলিক হাসপাতালে এই জটিল অস্ত্রোপচার করে নজির স্থাপন করা হল বলে মনে করছেন সকলে।
advertisement
আরও পড়ুন- রেশন না মেলায় বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের
শল্য চিকিৎসক ড: বকুল চাঁদ শেখ-এর তত্ত্বাবধানেই সম্পন্ন হয়েছে এই জটিল অস্ত্রোপচার। জানা গিয়েছে, নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা এবং হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডক্টর বকুল শেখ-এর অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই এই জটিল অস্ত্রোপচারে সফলতা পেয়েছে। এর ফলে বছর পঁচিশের যুবক সৌরভ সরকার আগামী দিনে আরও পাঁচ জনের মত স্বাভাবিকভাবে হাঁটাচলা করতে পারবে বলে দাবি চিকিৎসকদের। বলা যায়, বাঁচার নতুন এক দিশা খুঁজে পেলেন, আর্থিকভাবে অসচ্ছল পরিবারের যুবক, পেশায় মোটর গ্যারেজ কর্মী সৌরভ সরকার।
আরও পড়ুন- এবার জামাইষষ্ঠীতে কী সাধ্যের মধ্যে মিলবে ইলিশ? কী বলছেন বিক্রেতারা?
শল্য চিকিৎসক ডক্টর বকুল শেখ জানান, ওই যুবকের মেরুদন্ডের শেষে কোমরের দিকে অত্যন্ত জটিল অস্ত্রোপচারটি করা হয়। পায়ুদ্বারে পুঁজ রক্ত জমে গিয়ে অত্যন্ত কষ্ট পাচ্ছিলেন। যন্ত্রণা কমাতে প্রাথমিকভাবে ব্যথার ওষুধ খেয়ে থাকতেন তিনি। অস্ত্রোপচারের আগে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে সম্পূর্ণ নতুনভাবে পরিকাঠামোগত প্রস্তুতি নেওয়া হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা সময় ব্যয় করে এই জটিল ও ঝুঁকিপূর্ণ অস্ত্রোপচারটি সফলভাবে সম্পন্ন করেন চিকিৎসক ডক্টর বকুল শেখ।স্বাভাবিকভাবেই রোগীর পরিবার ও আত্মীয় স্বজনেরা ধন্যবাদ জানিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসক ও সমস্ত কর্মীদের।
নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালের অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্যেই আজ নতুন করে বাঁচার পথ খুঁজে পেলেন সৌরভ সরকার ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
Mainak Debnath