সূত্রের খবর, পাঁচু পন্ডিত নামে ওই ব্যক্তি মিন্টু সাহা নামে ওই ব্যক্তিকে বছর দুয়েক আগে বিনা সুদে ৩০০০০ টাকা ধার দেন। গত ১৪ তারিখ নাগাদ সেই টাকা আনতে গেলে পরে পাঁচু পণ্ডিত নামে ওই ব্যক্তিকে মিন্টু সাহা এবং তার বাবা রীতিমতো বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে মারার অভিযোগ তোলেন তার পরিবার। বাঁশ দিয়ে মারার ফলে মুহূর্তের মধ্যেই ওই স্থানে লুকিয়ে পড়ে পাঁচু পন্ডিত নামে ওই ব্যক্তি।
advertisement
আরও পড়ুন: পুলিশ চাইলে সব পারে, বকুনি খেয়ে ঘরছাড়া নাবালিকা ফিরল পরিবারে!
এরপরেই তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় শক্তিনগর হাসপাতালে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার কারণে শক্তিনগর থেকে তাকে রেফার করা হয় কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজে। সেখানে যাওয়ার পরেই গত সোমবার তার মৃত্যু হয় বলে সূত্রের খবর। সোমবার রাতেই অভিযুক্তের চায়ের দোকান ও ফুলের দোকানে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয় বলে জানা যায়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায়। মঙ্গলবার সকাল থেকেই এলাকা ছিল থমধমে। অভিযুক্তের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় বাড়ির বিভিন্ন সামগ্রী উঠোনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। যদিও বাড়িতে কোন লোক ছিল না তখন।
আরও পড়ুন: বিজয়া সম্মেলনীর মঞ্চ থেকে আবেগে ভাসলেন মমতা, উত্তরবঙ্গের মন জয়ে দুরন্ত চমক
স্থানীয়দের দাবি নিহতের বাড়ির লোকজন সোমবার রাতে ভাঙচুর চালায় অভিযুক্তের বাড়ি। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে নিহতের পরিবারের সদস্যেরা। তাদের দাবি অভিযুক্তের পরিবারের লোকজন ভাঙচুর করে তাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। মৃতদেহ বাড়িতে পৌঁছানোর পর বর্তমান পৌরসভার চেয়ারম্যান রিতা দাসের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখায় মৃতের পরিবারের সদস্যেরা। যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি বলেই সূত্রের খবর।
মৈনাক দেবনাথ