জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত আদিত্য মণ্ডল ও আহত রিমা মণ্ডল দুজনেই ভিন রাজ্যের হোটেলে চাকরি করেন। সেখানেই চাকরির সূত্রে তাঁদের মধ্যে আলাপ ও ঘনিষ্ঠতা। পরবর্তীতে তাঁরা একে অপরকে ভালোবেসে বিয়ে করেন। বর্তমানে ভিন রাজ্যেই থাকেন। কিন্তু সম্প্রতি এক আত্মীয় মারা যাওয়ায় শান্তিপুরের বাড়িতে এসেছিলেন। সেখানেই এমন রক্তারক্তি কাণ্ড। যদিও শাশুড়ি ভবানী মণ্ডলের তৎপরতায় প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন রিমা।
advertisement
আরও পড়ুন: চাকরি নয়, নিজেই হন উদ্যোক্তা কাজ দিন আরও পাঁচজনকে
বৌমার প্রাণ বাঁচানো ভবানী মণ্ডল জানান, তাঁদের বাড়ি নদিয়ার শান্তিপুরের চন্দ্রপুর গ্রামে। ছেলে ও বৌমা ভিন রাজ্যে হোটেলে কাজ করে। তিনি স্বীকার করেছেন, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছেলে আদিত্য মাঝেমধ্যেই বৌমার উপর অত্যাচার করে। তবে সেইসঙ্গে ছেলের মানসিক সমস্যা আছে বলেও জানান ভবানীদেবী। এই ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বৌমার বাপের বাড়ি সুন্দরবনে। বেঙ্গালুরুতে ছেলে ও বৌমা একই হোটেলে কাজ করার সুবাদে নিজেরাই ভালোবেসে দু’বছর আগে বিয়ে করেছিল। এদিন শান্তিপুরের বাড়িতে হঠাৎই ছেলে-বৌমার ঘর থেকে চিৎকার চেঁচামেচি শোনা যায়। গিয়ে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় বৌমা পড়ে আছে। প্রথমে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানোর পরই শান্তিপুর থানায় যোগাযোগ করেন ভবানীদেবী।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে রিমা তাঁর শাশুড়িকে জানান, আদিত্য হঠাৎ ঘরে ডেকে তার পাশে শুতে বলে। কিন্তু অসময়ে কোনও কারণ ছাড়াই শুতে রাজি হননি। তখন হঠাৎ পেছন থেকে কফি খাওয়ার জন্য রাখা গরম জল ঢেলে দেন গায়ে। এর পরই হাতে থাকা ছুরি দিয়ে ঘাড়ের পেছনে আঘাত করে। এদিকে রিমা মণ্ডলকে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতাল থেকে পরে কৃষ্ণনগরের হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
মৈনাক দেবনাথ