TRENDING:

Husband and Wife: শাঁখা-সিঁদুর নিয়ে স্বামী গিয়েছিলেন স্ত্রীকে ফেরাতে, সাধুর সঙ্গেই কণ্ঠি বদল করে ছাড়লেন ঘর

Last Updated:

Husband and Wife: Husband and Wife: ফেরাতে পারলেন না স্ত্রীকে, সাধুবাবার সঙ্গেই চলে গেলেন গৃহবধূ! কারণ জানলে অবাক হবেন...

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
নদিয়া: সাধুবাবাই বাঁচিয়েছে প্রাণ, তাই মালা-চন্দন কণ্ঠি বদল করে বর্তমানে সাধুর সঙ্গেই থাকেন গৃহবধূ। বিবাহিত মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে শাঁখা সিঁদুর সহ খালি হাতেই ফিরতে হল স্বামীকে। ডিভোর্সের পরেও স্ত্রীকে ফেরানোর আশায় বিবাহিত মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাগে করে শাঁখা-সিঁদুর এনেছিলেন। কিন্তু অগত্যা খালি হাতেই ফিরতে হল উত্তেজিত জনতার রোষানলে। কারণ স্ত্রী মজেছে সাধুর প্রেমে । শুধু প্রেম নয় , স্বামীর অত্যাচার এবং মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে ‌যাওয়া গৃহবধূকে মৃত্যুর মুখ থেকে সুস্থ করে তুলেছেন নাকি সাধুবাবাই। এমনই জানাচ্ছেন, ওই মহিলা।
সাধুবাবাকে সঙ্গে নিয়ে স্বামীর নামে থানায় অভিযোগ জানাতে যাচ্ছেন ওই মহিলা
সাধুবাবাকে সঙ্গে নিয়ে স্বামীর নামে থানায় অভিযোগ জানাতে যাচ্ছেন ওই মহিলা
advertisement

ওই মহিলা জানান, তার বাপের বাড়ি গাংনাপুর শ্বশুরবাড়ি রানাঘাট আঁশতলায়। ২২ বছর আগে পড়াশোনা ছাড়িয়ে বাপের বাড়ির পক্ষ থেকে এক প্রকার জোর করেই বিবাহ দেওয়া হয়। তিনি বরাবরই ধর্ম প্রিয়, আধ্যাত্মিক চেতনা তার মধ্যে। তবে তার স্বামী ঠিক উল্টো, তার পেশা বিভিন্ন কুরুচিকর নাচ গানের অনুষ্ঠান আয়জোন করা। মাঝেমধ্যেই মদ্যপান করে তার ওপর অত্যাচার চালাতেন। অত্যন্ত অভাবী হওয়ার কারণেই এ বিষয়ে বাপের বাড়িতে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি।

advertisement

আরও পড়ুন –  Marriage Astro Tips: দাম্পত্য ভাসবে প্রেমের জোয়ারে, নাকি অল্পতেই শেষ সম্পর্ক, হাতের রেখায় লুকিয়ে অসীম রহস্য

View More

দুই মেয়ের বিবাহ হয়ে যাওয়ার পর অত্যাচারের মাত্রা আরও বাড়তে থাকে, মাথায় জট হয়ে শারীরিক অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তার বাবা চাকদহ শ্যামসুন্দর মন্দিরে সাধু বনমালী গোস্বামীর শরণাপন্ন হলে তিনি তাকে জট কাটিয়ে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে সুস্থ করে তোলেন। আর তখন থেকেই সাধুর প্রতি মন মজেছে তার। কিন্তু ধর্মীয় পরিবেশ ঠিক রাখতে এবং ভক্তবৃন্দদের কৌতূহল কাটাতে তারা মালাচন্দন এবং কণ্ঠিবদল করেন।

advertisement

এরপরে চলে আসে শান্তিপুর হরিপুর অঞ্চলে ঘোষ মার্কেটের পাশে একটি নবনির্মিত গোবিন্দ মন্দিরের সেবাইত হিসেবে। যদিও সে মন্দিরের সংস্কারের কাজ এখনও চলছে। সাধু বনমালী গোস্বামীর আসল নাম বিশ্বনাথ সরকার। তিনি জানাচ্ছেন, \”চোখের সামনে স্বামীর অত্যাচারে একটি প্রাণ শেষ হতে বসেছিল আমি বাঁচিয়েছি মাত্র। অন্যদিকে আমার স্ত্রী একমাত্র ছেলের ১৪ মাস বয়সে গত হয় তখন থেকেই বৃন্দাবনসহ বিভিন্ন মন্দিরে সাধনা করি। কিন্তু কাকলী মাতাজির জীবন মরণ সমস্যায় তাকে বাঁচাতে সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি। তবে ওর স্বামীর সঙ্গে আইন গত ডিভোর্স হয়ে যাওয়ার পরে।\”

advertisement

এ প্রসঙ্গে স্বামী খোকন দেবনাথ জানাচ্ছেন, \”একদিন বাজারে যাওয়ার নাম করে তার স্ত্রী বৃন্দাবন চলে গিয়েছিল, সেই থেকে অশান্তি। আসলে এর পেছনে ছিল পরকীয়া। ডিভোর্সের পরেও দু দুবার সংসার করার চেষ্টা করেছি আজও এসেছিলাম ব্যাগে শাঁখা সিঁদুর নিয়ে। আমাদের বিবাহিত মেয়েও এসেছে মাকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে, কিন্তু সাধুবাবার যে কি যাদু আছে, যে নিজের সন্তানের ডাকে সাড়া না দিয়ে তার সঙ্গেই থাকতে চায়। বরং এলাকাবাসীকে ক্ষেপিয়ে তুলে আমাদেরকেই আটকে রাখার চেষ্টা করছিল।\”

advertisement

যদিও ঘটানোর পরিপ্রেক্ষিতে ওই সাধুবাবা এবং সাধিকা শান্তিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন, আইনত ডিভোর্স হয়ে যাওয়ার পরেও নিয়মিত তার আশ্রয় দাতাকে মৃত্যু হুমকি, এবং দুষ্কৃতীদের নিয়ে এসে এদিন তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টার কথা জানিয়ে। স্বাভাবিকভাবেই ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছাড়ায় ওই এলাকায়।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
'আসছে বছর আবার হবে'! দিঘার সমুদ্রে বিলীন দেবী দুর্গা, ঢেউয়ের গর্জনে মিশল বিদায়ের সুর
আরও দেখুন

Mainak Debnath

বাংলা খবর/ খবর/নদিয়া/
Husband and Wife: শাঁখা-সিঁদুর নিয়ে স্বামী গিয়েছিলেন স্ত্রীকে ফেরাতে, সাধুর সঙ্গেই কণ্ঠি বদল করে ছাড়লেন ঘর
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল