বিগত দুই বছর করোনা মহামারীর কারণে শুধুমাত্র ঘট পুজোর আয়োজন করা হয়। এবছর করোনার প্রকোপ কিছুটা কমার ফলে ধুমধাম করে আয়োজিত হচ্ছে বাসন্তী পুজো। এই পুজোতে প্রতি বছর ভক্তরাই প্রতিমা দিয়ে থাকেন৷ পুজোর সময়ে গ্রামের প্রত্যেক বাসিন্দা পেট ভরে প্রসাদ গ্রহণ করেন। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ একসঙ্গে বসে প্রসাদ নেন৷ পুজোর চার দিন আট থেকে আশি সবাই নিজের মত করে আনন্দ উপভোগ করেন৷ সারা বছর মহিলা থেকে শিশু সবাই অপেক্ষা করে থাকে বসন্ত কালের এই চারদিনের বাসন্তী পুজোয় আনন্দ করার জন্য।
advertisement
প্রসঙ্গত, ইতিহাসের তথ্য বিশ্লেষণ করে জানা গিয়েছে, রাজা সুরথ এই মাতৃ আরাধনার সূচনা করেছিলেন। আবার কৃত্তিবাসী রামায়ণের কাহিনীর থেকে জানা যায়, রাক্ষস রাজ রাবণ এই পুজো প্রথম শুরু করেছিলেন। যদিও পরবর্তী কালে রামচন্দ্র দুর্গাপুজো করেছিলেন শরৎ কালে৷ যা অকাল বোধন হিসাবে পরিচিত।
আমাদের আপামর বাঙালির কাছে শরৎ কালের দুর্গাপুজো যথেষ্ঠ জনপ্রিয়তা অর্জন করলেও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও প্রাচীনতার নিরিখে এই বসন্ত কালীন বাসন্তী পুজোরও যথেষ্ঠ গুরুত্ব রয়েছে।
Mainak Debnath