অবশেষে তিনি শরণাপন্ন হন শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। এর আগে বিয়ের ছয় মাসের মধ্যে অজয় বিশ্বাসের স্ত্রী আলোমতি বিশ্বাসের পেটের টিউমারের একটি অস্ত্রোপচার হয় যার জেরে সমস্যা আরও বৃদ্ধি পায়। তবে শান্তিপুর হাসপাতালে চিকিৎসক ডক্টর পবিত্র কুমার ব্যাপারীর তত্ত্বাবধানে তিনি সন্তানসম্ভবা হন। তবে এখান থেকেই নতুন করে সমস্যা সুত্রপাত হয়।
advertisement
সন্তানসম্ভবা হওয়ার দু’মাসের মধ্যে পেটের পরীক্ষা করে অজয় বাবুর স্ত্রী আলোমতি বিশ্বাসের পেটে একটি বিশাল আকার ওভারিয়ান সিস্ট ধরা পড়ে। সিস্ট দেখামাত্রই চিকিৎসক-পবিত্রকুমার ব্যাপারী কলকাতার বিভিন্ন ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করেন। প্রতিনিয়ত চলে তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা। শান্তিপুর হাসপাতালে ডক্টর কৌশিক সাহা, সুব্রত ব্রহ্ম, তিনামনি বিশ্বাস ছাড়াও বিভিন্ন চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে নিরন্তর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলে আলোমতি বিশ্বাসের। অবশেষে ২৪ সপ্তাহ পরে চিকিৎসকদের নিরন্তর প্রচেষ্টায় কোল আলো করে শ্রমিকের ঘরে এল সন্তান।
আরও পড়ুন: লঙ্কাও তিনশো টাকা কেজি! সবজি বাজারে আগুন, দাম শুনে আঁতকে উঠছেন ক্রেতার
আর লাল শালু, কুপন বা স্টেশনে কৌটো নিয়ে অর্থ সংগ্রহ নয়, টাকা তুলতে কিউআর কোড চালু সিপিএমের
এ বিষয়ে ডঃ পবিত্রকুমার ব্যাপারি জানান, “রোগী সন্তান সম্ভবা হওয়ার দুমাসের মধ্যে ইউএসজি করে আমরা জানতে পারি তার ওভারিতে বিশালাকার একটি সিস্ট রয়েছে। এরপরেই বিভিন্ন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তার নিরন্তন চেক-আপ চলে। অন্যত্র রেফার করা হলেও রোগীর পরিবার এবং আত্মীয়-স্বজনদের অনুরোধে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালেই রোগীর সম্পূর্ণ চিকিৎসা এবং অস্ত্রপপোচার করা হয় সফলভাবে।
এরপরেই সময় মতো বিভিন্ন চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী রোগীর অপারেশন করা হয়। রোগীর পেটে বিশালকার সিস্ট থাকার কারণে আড়াআড়ি না কেটে লম্বালম্বি ভাবে অস্ত্রোপচার করে সফলভাবে তার সিস্ট বার করে ডেলিভারি করা হয়। মা এবং নবজাতক দুজনেই সুস্থ রয়েছে বর্তমানে। আগামী ২৪ ঘন্টা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হলেও আমরা আশাবাদী মা এবং সদ্যজাত দুজনেই সুস্থ থাকবেন।”
Mainak Debnath