জানা যায়, ভেঙে পড়েছিল কয়েকশো বছর আগেই। তার পর ভাগীরথীর গ্রাসে চলে যায় কিছু অংশ। বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজদ্দৌলার সাধের সেই হীরাঝিল প্রাসাদের শেষটুকু টিকিয়ে রাখতে এ বার পথে নেমেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেই আন্দোলনের সঙ্গী হয়েছেন সমর্পিতা দত্ত এবং নিহত নবাবের বাংলাদেশবাসী বংশধরেরা।
আরও পড়ুন: Big News: ন্যাশনাল পেনশন স্কিমে হতে পারে বড় বদল! আপনার উপর কী প্রভাব পড়বে ?
advertisement
তবে নবাবি আমলে এই মুর্শিদাবাদই ছিল বাংলা-বিহার-ওড়িশার রাজধানী। এখনও ফি বছর মুর্শিদাবাদ জেলায় কয়েক লক্ষ পর্যটক আসেন সিরাজের স্মৃতির খোঁজে। জানতে চান, আলিবর্দী-দৌহিত্রের শাসনকাল আর মর্মান্তিক পরিণতির কথা। অথচ সেই পর্যটকদের অনেকেই মুর্শিদাবাদ ভ্রমণে এসে হতাশ হয়ে ফিরে যান। কারণ, পলাশির যুদ্ধের পর বাংলার মসনদে বসা বিশ্বাসঘাতক উত্তরসূরিদের অবহেলার কারণে সিরাজের অনেক স্মৃতিই উধাও হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। সেই তালিকাতেই রয়েছে হীরাঝিল।
আরও পড়ুন: নতুন বছরে নতুন ব্যবসা শুরু করুন, পুঁজির দরকার নেই, ইন্টারনেট থাকলেই হবে!
তাই হীরাঝিল প্রাসাদকে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় গড়ে তুলতে এলাকার বাসিন্দারা উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন গত এক বছর আগে। আর এই বছর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে পিকনিক গড়ার জন্য। পর্যটকদের জন্য পিকনিক স্পট গড়ে তোলা হয়েছে হিরাঝিল ।যা চলছে জোর কদমে পরিস্কার। শীতের মরশুমে আসুক পর্যটকরা, এবং ইতিহাসের সঙ্গী করে বাচুক হীরাঝিল প্রাসাদ। চাইছেন হিরাঝিল বাঁচাও আন্দোলনকারীরা।
কৌশিক অধিকারী