স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুর নাগাদ মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা ব্লকের শঙ্করপুর ফিডার ক্যানেলে এই কুমির দেখা যায়। ফলে রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে ওই এলাকায়। তবে ৩০ সেকেন্ড থেকে ৪০সেকেন্ড মতো কুমির ডাঙ্গায় উঠে আসে, ফের চলে যায় গঙ্গায়। আর তার জেরেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সাধারণ মানুষজন। তবে ফরাক্কাতে এই প্রথম নয় কুমিরের সন্ধান। এর আগেও একাধিকবার দেখা মিলেছে কুমিরের।
advertisement
আরও পড়ুন: বিরাট খবর! বাংলার জন্য আরও এক বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, কোথায় যাবে? জানলে চমকে যাবেন
গত ২৯ নভেম্বর, ফরাক্কাতে দেখা মেলে ঘড়িয়ালের।মৎস্যজীবী কমল মন্ডল ও রঞ্জিত মন্ডল গঙ্গায় মাছ ধরার জন্য জাল ফেলে, সেই জাল উঠানোর সময় দেখে তার জালে একটি ঘেরিয়াল আটকে আছে। তারপর ঘড়িয়ালটিকে ডাঙ্গায় নিয়ে এসে জাল থেকে ছাড়িয়ে আবার গঙ্গায় বেঁধে রাখা হয়। যাতে ঘড়িয়ালটির কোন রকম ক্ষতি না হয়। বনদফতর আসলে তার হাতে তুলে দেবে বলে জানায় মৎস্যজীবীরা।
আরও পড়ুন: ৩০০ চাকরিপ্রার্থীর তালিকা, ইডির হানায় এসএসসি দুর্নীতির বিরাট কাণ্ড ফাঁস! এবার?
ফরাক্কার পাশাপাশি রানিনগরে দেখা মেলে কুমিরের। মুর্শিদাবাদের রাণীনগরে গত ১৩ই ডিসেম্বর কুমিরের দেখা মেলে মুর্শিদাবাদের ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রানিনগরের ১১৭ বি এন বিএসএফ বাবনাবাদ ক্যাম্পের নীচে নদীতে। আর ঐ কুমির দেখার পর হুলুস্থুল পড়ে বিএসএফের মধ্যে। চোখে চোখে রাখা হয় দীর্ঘক্ষন। জানা গিয়েছে, রানীনগরের নদীতে কুমির দেখেই হতবাক হয় স্থানীয়রাও। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নদীর সীমান্ত এলাকা বাসীরা স্নান করতে যান নদীতে কিন্তু এবার সেই নদীতেই কুমির দেখে আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয়রা। তবে এবার ফরাক্কাতে শুক্রবার দুপুরে কুমিরের দেখা মিলতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সাধারণ মানুষজন। যদিও সমস্ত বিষয়টির ওপর নজর রাখছে বন দফতর বলে জানা গিয়েছে।