বাংলায় দেবী কালী নানারূপে বিরাজিতা। কোথাও তিনি দক্ষিণাকালী, কোথাও আবার ভদ্রকালী। কোথাওবা সিদ্ধকালী, গুহ্যকালী, শ্মশানকালী, মহাকালী কিংবা রক্ষাকালী। একেক ভক্তের কাছে দেবী যেন একেক রূপে ধরা দিয়েছেন। কেউ দেবীকে ডাকেন আনন্দময়ী, কেউ বা ডাকেন ব্রহ্মময়ী। কেউ আবার ডাকেন ভবতারিণী রূপে। শাক্ত মতে প্রতি অমাবস্যা তিথিতেই দেবী কালীর আরাধনা করা হয়। তার মধ্যে একেক অমাবস্যা নির্দিষ্ট রয়েছে দেবীর একেক রূপের আরাধনার জন্য। যেমন কার্তিক মাসের অমাবস্যায় হয় দীপান্বিতা কালীপুজো। তেমনই জ্যৈষ্ঠ মাসের অমাবস্যায় হয় ফলহারিণী কালীপুজো। ফলহারিণী কালীপুজো উপলক্ষে দশম মহাবিদ্যা যজ্ঞের আয়োজন করা হয়। এই বছর ফলহারিণী অমাবস্যা বৃহস্পতিবার রাত ৯.১৫ মিনিটে পেয়েছে। থাকবে শুক্রবার রাত ৮ টা পর্যন্ত।
advertisement
আরও পড়ুন: নব জোয়ার নিয়ে আসছেন অভিষেক, শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি পুরুলিয়ায়
মূলত মরশুমি ফল (আম, জাম, লিচু, কাঁঠাল, তরমুজ, তালশাঁস) দিয়েই এই অমাবস্য্যায় মা কালীর পুজা করা হয়। ভক্তদের বিশ্বাস, এই পুজোয় রোগব্যাধি দূর হয়, বিদ্যালাভ এবং যশোলাভ হয়। কর্মক্ষেত্রে উন্নতি ও অর্থভাগ্য ফেরে। সাংসারিক এবং দাম্পত্যক্ষেত্রে অশান্তি দূর হয়। দেবীর কৃপায় অভীষ্ঠ ফললাভ হয়। এই পুণ্যতিথিতে মানসিক এবং আধ্যাত্মিক জাগরণও ঘটে থাকে।
শাস্ত্র মতে এই দিন মনস্কামনা পূরণের জন্য মা কালীকে ফল দিয়ে নিজের মনস্কামনা জানাতে হয়। সেই মনস্কামনা পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সেই ফলটি অন্য কাউকে দান করতে নেই এবং নিজেকেও সেই ফল খেতে নেই। এক বছরের মধ্যে মনস্কামনা পূরণ হলে সেই ফল গঙ্গায় ভাসিয়ে পরের দিন থেকে তা খাওয়া যেতে পারে।
কৌশিক অধিকারী