রবিবার সন্ধেয় মসজিদের নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার পথে হঠাৎ বোমার আঘাতে মৃত্যু হয় তৃণমূল কর্মী আমির শেখের (৫০)। গ্রামবাসীদের দাবি, পঞ্চায়েত ভোটের আগে এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরে এই ঝামেলা চলছিল শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে। সেই দ্বন্দ্ব থেকেই রবিবার সন্ধেয় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিপ্রশেখর পঞ্চায়েতের পাঁপড়দহ গ্রাম। শুরু হয় ব্যাপক বোমাবাজি। তাতেই মৃত্যু হয় শাসকদলের এক গোষ্ঠীর সদস্য আমির শেখের। খবর পেয়ে গ্রামে পুলিশ এলে মৃতদেহ আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখায় গ্রামের মানুষ। পুলিশকে দেহ নিয়ে যেতে বাধা দেওয়া হয়।
advertisement
আরও পড়়ুন: বিপুল পরিমাণে মাদক! ২ পাচারকারীকে গ্রেফতার করল STF
এই ঘটনায় মৃত তৃণমূল কর্মীর আত্মীয়রা অভিযোগের আঙুল তুলেছেন শাসকদলের অঞ্চল সভাপতির অনুগামীদের দিকে। স্থানীয় সূত্রে খবর, বেশ কিছুদিন ধরে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য বিউটি বিবি ও তাঁর স্বামী জহিরুদ্দিন শেখ ওরফে ঝন্টু শেখের সঙ্গে বিপ্রশেখর অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি গোলাম গাউস গোষ্ঠীর বিবাদ চলছে। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এলাকায় বোমাবাজি হয়।
বিপ্রশেখর পঞ্চায়েতের সদস্য জাহাঙ্গির শেখের মামাতো ভাই হয় মৃত আমির শেখ। প্রাক্তন ব্লক তৃণমূল সভাপতি গোলাম মুর্শেদ জর্জের ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত ছিলেন তিনি। এদিকে শেষ পর্যন্ত গ্রামবাসীদের বুঝিয়ে মৃত তৃণমূল কর্মীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য কান্দি মহকুমা হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। এই ঘটনার পর থেকেই গোটা গ্রাম থম থম করছে।
কৌশিক অধিকারী