মুর্শিদাবাদের এই বিতর্কিত তৃণমূল বিধায়কের দলীয় কার্যালয় ভাঙার বিষয়টি অবশ্য মসৃণভাবে হয়নি। বড়ঞার আফ্রিকা মোড় সংলগ্ন এলাকার এই কার্যালয়টি ভাঙার সময়ের নাটকীয় ঘটনার সাক্ষী থাকলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে বড়ঞা থেকে জিতে প্রথমবার বিধায় হন জীবনকৃষ্ণ সাহা। তারপরই তিনি এই কার্যালয়টি তৈরি করেন। এটি এলাকার মানুষের কাছে তৃণমূলের পার্টি অফিস নামেই পরিচিত ছিল। কিন্তু তৈরির কিছু দিনের মধ্যেই কার্যালয়টি ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়। সরকারি জমি দখল করে বিধায়ক কার্যালয় তৈরি করেছেন বলে মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে।
advertisement
আরও পড়ুন: হাইকোর্টের রায়ে মন খারাপ চা বলয়ের, মুষড়ে পড়েছেন শ্রমিকরা
সেই মামলাতেই আদালত রায় দেয়, তৃণমূলের এই পার্টি অফিস ভেঙে জায়গা খালি করে দিতে হবে। কিন্তু এই রায় বাস্তবায়িত করার ক্ষেত্রে পুলিশ-প্রশাসনের টালবাহানা চলতে থাকে। শেষ পর্যন্ত বুধবার সকাল সাতটায় বুলডোজার নিয়ে জীবনকৃষ্ণ সাহার এই দলীয় কার্যালয় ভাঙতে হাজির হয় প্রশাসন। কিন্তু ভাঙার কাজ শুরুর আগেই স্থানীয় তৃণমূল নেতাকর্মীদের বাধার মুখে পড়ে পুলিশ।
বড়ঞা-২ পঞ্চায়েতের প্রধান তথা তৃণমূল নেত্রী জ্যোৎস্না খাতুন বুলডোজারের সামনে দাঁড়িয়ে পড়েন। দীর্ঘক্ষণ বোঝানোর পর মহিলা পুলিশ দিয়ে ওই তৃণমূল নেত্রীকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপরই তিনি কেঁদে ফেলেন। বলেন, বেআইনিভাবে হাইকোর্ট থেকে রায় বের করে এনে দলীয় কার্যালয় ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। তাঁর দাবি, কলকাতা হাইকোর্ট যে জায়গাটি খালি করতে বলেছে তার মধ্যে তৃণমূলের এই পার্টি অফিসটি পড়ে না। তাঁরা প্রশাসনের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে পাল্টা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবেন বলে জানান।
কৌশিক অধিকারী