১৯৫২ সাল। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান অধুনা বাংলাদেশে বাংলা ভাষার জন্য আন্দোলন দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ে। উর্দুর পাশাপাশি বাংলাকেও পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় ভাষা করার দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। সেই আন্দোলনকে অবদমিত করতে পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালায় আন্দোলনকারী ছাত্রদের উপরে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১২ নম্বর শেডের বারান্দায় গুলিবিদ্ধ আবুল বরকত লুটিয়ে পড়েন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে রাত ৮ টায় তিনি মারা যান। ২১ ফেব্রুয়ারি রাতেই ঢাকার আজিমপুর গোরস্থানে পুলিশ বরকতের দেহ সমাধিস্থ করে। সেখানেই ভাষা আন্দোলনের আরও চার শহিদ আব্দুস সালাম, রফিকুদ্দিন আহমেদ, শফিউর রহমান ও আব্দুল জব্বার শায়িত আছেন। পরের দিন ২২ ফেব্রুয়ারি প্রতিবাদ মিছিলের উপর ট্রাক চালিয়ে আরও ৩ জনকে পিষে মেরে ফেলা হয়। ওই ভাষা শহিদদের স্মরণে রেখে ২০০০ সালের ২১ ফেব্রুায়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণা করে রাষ্ট্রসঙ্ঘ। সেই আন্দোলনে শহিদ হয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের ছেলে আবুল বরকত।
advertisement
আরও পড়ুন: বাঙালির জন্যই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, ওপার ও এপার বাংলায় যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হল দিনটি
এদিকে কান্দি রাজ কলেজেও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠান হয়। উপস্থিত ছিলেন কান্দি পুরসভার পুরপ্রধান জয়দেব ঘটক ও কান্দি রাজ কলেজের অধ্যক্ষ সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
কৌশিক অধিকারী