একদা বৃন্দাবনে গোপিনীরা ফুলের ঝুলনা বা দোলনায় রাধা কৃষ্ণকে বসিয়ে উৎসবে মেতে উঠতেন। সেই থেকেই ঝুলনের সূচনা। পরবর্তীতে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ঝুলনেও এসেছে পরিবর্তন। রাধা কৃষ্ণের বদলে জায়গা নিয়েছিল মাটির পুতুল। এইসব পুতুল সাজিয়ে আর কৃত্রিম রাস্তা, পুকুর, পাহাড় তৈরি করে গ্রামের জীবন তুলে ধরা হতে থাকে। তন্ময় অবশ্য সাবেকিয়ানা বজায় রেখে রাধা কৃষ্ণের ঝুলন যাত্রার সঙ্গে দেবাদিদেব মহাদেবের নানান কাহিনিও তুলে ধরেছেন। রয়েছে একালের গ্রামীণ জীবনযাত্রার চিত্রও।
advertisement
আরও পড়ুন: বাড়ছে জাতীয় পতাকা ও রাখীর বিক্রি! খুশি ব্যবসায়ীরা
আরও পড়ুন: বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়ে আর বাড়ি ফিরল না যুবক! ঘনাচ্ছে রহস্য
তন্ময়ের কথায়, আগে ঝুলন যাত্রা প্রত্যেক বাড়িতে বাড়িতে হলেও এখন আর তা দেখা যায় না। একালের ছেলে মেয়েরা একপ্রকার বঞ্চিতই থেকে গেছে এইসব উৎসবের আনন্দ থেকে। সেই ভাবনা থেকেই ঝুলনের আয়োজন। আগের ছোট শিশুদের ঝুলন যাত্রা কে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হয়েছে। সমাজ সংস্কৃতির এইসব প্রথা যাতে হারিয়ে না যায় সেই কারণে ঝুলনের আয়োজন করা হয়েছে। এই কাজে তিনি সঙ্গী পেয়েছেন আরও কয়েকজন যুবককে। তাঁর আশা প্রতি বছরই ঘরে ঘরে ঝুলন উৎসব পালন হোক। বেঁচে থাকুক হারিয়ে যাওয়া উৎসব আর তার ঐতিহ্য। বাচ্চা থেকে বুড়ো সবাই আসছেন তাঁদের ঝুলন দেখতে।
কৌশিক অধিকারী