এ সবের বেশিরভাগ কোঠাতেই ইংরেজ কর্মচারীরা তাদের আমোদ ফূর্তির জন্য বরাদ্দ রাখতেন এক বা একাধিক উপপত্নী। এই উপপত্নীরা বিবেচিত হতেন ইংরেজ কর্মচারীদের আনন্দের উপকরণ হিসেবে। শুধুমাত্র ইংরেজ কর্মচারীরাই নন, তৎকালীন সময়ে অনেক বাঙালি বাবুদের মুক্তাঞ্চলও হয়ে ওঠে এইসব যৌনপল্লী।
আরও পড়ুনঃ জামিন পেলেন অনুব্রত, মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন আগেভাগেই, কিন্তু কেন?
advertisement
তবে করোনার পর থেকে এই সব রেড লাইট এলাকার বাসিন্দাদের অবস্থা সঙ্গেএন। কর্মীদের ব্যাবসা এখন মুখথুবড়ে পড়েছে। ফের করোনার বাড়বাড়ন্ত শুরু হওয়ায় আতঙ্কে ভুগছেন। মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান শহরের মধ্যেই রয়েছে যৌন পল্লি। আর এখানেই রয়েছে ১০০-১৫০ জন যৌনকর্মী। করোনা এখনও দেশে প্রভাব ফেলেনি, কিন্তু এখনই আতঙ্কে গ্রাস করেছে তাঁদের।
খবরে চ্যানেল থেকে শুরু করে পত্রিকা খুললেই চিন অথবা অন্যান্য দেশের খবর দেখে আতঙ্কিত সকলের। তারা বলছেন, যদি ফের লকডাউন হয়, তাহলে ব্যবসা একেবারেই বন্ধ হয়ে যাবে। গত দু-বছর করোনার কারণে, তাদের আর্থিক অবস্থা তলানিতে ঠেকেছে। অনেকেই দু-বেলা খেতে পাননি। খাবার জোগাতে আগে ভিক্ষে করতে হত। এ বারে ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা। আর এই করোনা যদি ফের প্রভাব ফেলে, তাহলে তাঁদের কী হবে, সেই দুশ্চিন্তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন যৌন পেশার সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা।
কৌশিক অধিকারী