ডাবের দাম গড়পড়তায় প্রায় ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকা । গরম পড়তেই জেলার পাইকারি ডাবের আড়ত থেকে হাজারে হাজারে ডাব পাড়ি দিচ্ছে বিহার-সহ ভিন রাজ্যে । গত বছরও এইসব পাইকারি আড়তদাররা একটি ডাব কিনেছেন ২০-২২ টাকায় । ট্রাকে করে ডাব পাঠিয়ে দাম পেয়েছেন ২৬-২৮ টাকা । এবার জ্যৈষ্ঠের মাঝামাঝি সময়ে অতিরিক্ত গরম পড়তেই ডাবের চাহিদা বাড়লেও হঠাৎ যেন ডাবের যোগান কমে যাচ্ছে । চৈত্রের প্রথম সপ্তাহে পাইকারি ডাবের দাম ছিল ২২-২৪ টাকা । খুচরো বিক্রি হচ্ছিল ৩০-৩৫ টাকায় । জ্যৈষ্ঠের মাঝামাঝিতে এখন দাম ঠেকেছে ৫০-৬০ টাকায় ।
advertisement
আরও পড়ুন : এগিয়ে আসছে আষাঢ়ের পুণ্য লগ্ন, মহিষাদলে জোরকদমে চলছে রথযাত্রার প্রস্তুতি
আরও পড়ুন : বহরমপুর ও ডোমকলে নদীতে স্নান করতে নেমে তলিয়ে গেল ৪ কিশোর
এই গরমে ডাবের চাহিদা অনেক বেশি । কিন্তু সেই চাহিদা অনুযায়ী ডাবের সরবরাহ অত্যন্ত কম । দীর্ঘ দিন ধরে খরার কারণে নারকেল গাছে ফলন খুবই কম হয়েছে । যে কারণে দামও অনেক বেশি । সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ঘুরে ঘুরে ডাব সংগ্রহ করলেও ডাবের দাম এখন উর্ধ্বমুখী, স্বীকার করেছেন ডাব বিক্রেতারাও । তাঁদের কথায়, দৈনিক গড়ে ৪০০ টির মতো ডাব বিক্রি হয় । মূলত গ্রামীণ এলাকা থেকে ডাব নিয়ে আসা হয়, শহর এলাকায় গাছ কেটে ফেলায় ডাবের যোগানও কম হচ্ছে। তার জেরেই গ্রামীণ এলাকা থেকে ডাব নিয়ে এসে বিক্রি করা হয় শহর এলাকায় । সেই জন্য ডাবের দামও ঊর্ধ্বমুখী বলে জানাচ্ছেন বিক্রেতারা । ক্রেতাদের কথায়, ‘‘চড়া দাম হলেও ডাব খাচ্ছি। শরীরেও একটু তৃপ্তি মিলছে।’’ তবে ডাবের দাম বৃদ্ধি হলেও তেষ্টা মেটাতে ডাবে চুমুক দিচ্ছেন পথ চলতি সাধারণ মানুষ ।
( প্রতিবেদন : কৌশিক অধিকারী )