মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন ব্লকের পাশাপাশি ভরতপুরের চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করা হল। তবে রামধনু জোটে প্রাধান নির্বাচন হল জজান গ্রাম পঞ্চায়েতে। জজান গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন ১৮। তৃণমূল পায় ৫টি আসন, বিজেপি পায় ৬টি আসন, নির্দল পায় ৫টি আসন কংগ্রেস ও সিপিআইএম একটি করে আসন দখল করে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি একক ভাবে কোনও রাজনৈতিক দল। বোর্ড গঠনে দেখা গেল অন্য সমীকরণ।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘চাপে আছি বাবা এসো, মা এসো’! শেষ ফোনে বলেছিল যাদবপুরের স্বপ্নদীপ
প্রধান হিসেবে দু’জনের নাম প্রস্তাব করা হয় বিজেপির পক্ষ থেকে। তৃণমূলের জয়ী প্রার্থী রিনা খাতুনের নাম প্রস্তাব করা হয় এবং তৃণমূলের পক্ষ থেকে সাবিনা বেগমের নাম প্রস্তাব করা হয়। ৭/১১ ব্যবধানে প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন রিনা খাতুন। রিনা খাতুনকে সমর্থন দিয়েছেন ৬ বিজেপি সদস্য, ২ নির্দল সদস্য, কংগ্রেসের এক সদস্য ও সিপিএমের ১ সদস্য।
তৃণমূলের বিরুদ্ধে দল বিরোধী কাজ করে দলের মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে একাধিক দল থেকে সমর্থন করার জেরে প্রধান নির্বাচিত হওয়ায় অস্বস্তিতে তৃণমূল দল।
আরও পড়ুন: ‘আর কোনও মায়ের কোল যেন খালি না হয়’, স্বপ্নদীপের মৃত্যুর কারণ খুঁজতে যাদবপুরে তদন্ত কমিটি
এর পাশাপাশি উপপ্রধান নির্বাচিত হয়েছেন বিজেপির টিকিটের জয়ী মাধব মাজি। বোর্ড গঠনের পরে পঞ্চায়েত থেকে বেড়িয়ে এসে আবীর খেলায় মাতলেন বিজেপি ও তৃণমূলের কর্মীরা। পঞ্চায়েত সদস্য-সহ কর্মীরা গেরুয়া ও সবুজ আবীর মেখে মালা পড়িয়ে চলল বিজয় উৎসব। আকাশে উড়ল গেরুয়া আর সবুজ রঙের আবীর। যদিও এই বোর্ড গঠন নিয়ে ভিন্ন মত পোষণ করেছেন ভরতপুর ১নং ব্লকের সভাপতি সঞ্জয় সরখেল। তিনি বলেন, ‘যিনি প্রধান হয়েছেন তিনি দল বিরোধী কাজ করেছেন। দলের বিরুদ্ধে গিয়ে বিভিন্ন দলের সমর্থন নিয়ে প্রধান হয়েছেন। আমি জেলা নেতৃত্বকে জানিয়েছি। তাঁরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’
কৌশিক অধিকারী