মিষ্টির সঙ্গে বাঙালির প্রেম যুগ যুগ ধরে সকলের জানা। তা যদি হয় রসগোল্লা, তাহলে তো কথায় নেই। রসগোল্লা শুধু মিষ্টি নয়, এটি যেন বাঙালির আবেগ। শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে রসগোল্লার স্বাদ বেড়ে যায় আরও কয়েকগুণ। শীতকাল মানেই নলেন গুড়ের রসগোল্লা।
বর্তমানে ডিসেম্বরে শীতকালে খেজুরের রস ও নলেন গুড় দিয়ে পায়েস, বিভিন্ন ধরনের শীতকালীন পিঠে, তালের পিঠে, খেজুর গুড়ের জিলাপি ইত্যাদি তৈরি হয়ে থাকে। স্বাদ আর মানভেদে খেজুরের গুড় পাটালি, নলেন গুড়, হাজারী গুড় নামে পরিচিত।
advertisement
আরও পড়ুন: ফরাক্কায় দুর্ঘটনার কবলে রাধিকাপুর এক্সপ্রেস! বাতিল, রুট পরিবর্তন হল একাধিক ট্রেনের
মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন মিষ্টির দোকানে তৈরি করা হচ্ছে এই রসগোল্লা। নলেন গুড় এক ধরনের গুড় যা খেজুরের রস থেকে তৈরি করা হয়। বাংলা অগ্রহায়ণ মাস থেকে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ করা হয়। খেজুরের উত্তাপে রসকে ঘন ও শক্ত পাটালিগুড়ে পরিণত করা হয়। ধরণ অনুযায়ী খেজুরের গুড়কে ঝোলা গুড়, দানাগুড়, পাটালি, চিটাগুড় ইত্যাদি ভাগে ভাগে ভাগ করা যায়। শীতকাল মানেই পিঠে-পুলির পার্বণ। আগেকার দিনে শীতকালে নলেন গুড় দিয়ে নানারকম পদ তৈরি হয়। তবে এখন সেই পদের তালিকা কম হলেও এই বিশেষ গুড়ের কদর কিন্তু কমেনি।
কারিগরদের কথায়, ‘‘প্রথমে ভাল করে ছানা বানাতে হয়, তারপর সুজি এলাচ দিয়ে পাকানো হয়। পরে গুড়ের রসের মধ্যে ফেলে তৈরি করা হয় এই খেজুরের গুড়ের তৈরি রসগোল্লা । দৈনিক গড়ে এক হাজার করে তৈরি করা হয়। যা বিক্রি হয় ৮টাকা প্রতি পিস হিসেবে।’’
যদিও দোকান মালিক কৌশিক দত্ত জানান, শীতের মরশুমে খাদ্য প্রীয় বাঙালি এই খেজুরের গুড়ের রসগোল্লা কিনতে ভিড় জমাচ্ছেন। এই রসগোল্লা তৈরি করে পার্শ্ববর্তী বীরভূম ও দুর্গাপুরে যায় এই মিষ্টি।
কৌশিক অধিকারী