মুর্শিদাবাদ জেলার বড়ঞা ব্লকের অন্তর্গত পাঁচথুপি ঘোষ মৌলিক পরিবার। ঘোষ মল্লিক পরিবারের বাসিন্দা সুনীল মোহন তখন কলকাতার বাসিন্দা। সেই সময় তখন স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন সুনীল মোহন। আর তার জেরেই ১৯৩৫ থেকে ১৯৩৭সালের মধ্যে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু পা রেখেছিলেন পাঁচথুপি গ্রামে। ঘোষ মৌলিক পরিবারে লুচি, আলুরদম ও পায়েস খেয়ে ছিলেন। নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর সঙ্গে পাঁচথুপি গ্রামের যেন নারীর টান তাই আজও গর্ববোধ করেন গ্রামের বাসিন্দারা।
advertisement
জানা যায়, নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু পাঁচথুপি গ্রামে সংগঠন গড়ে তোলার জন্য পা রেখেছিলেন যা আজও ঐতিহ্য বহন করে চলেছে বলে জানা যায়। এখানেই রাত্রিবাস করেছিলেন আর নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মদিনে আজও স্মৃতি জড়িয়ে আছে পরিবারে।
আরও পড়ুন - পরণে কোনও কাপড় নেই! হরিদ্বারে সুড়ঙ্গের কাছে ঘুরঘুর করছিল বিদেশি, তারপর...
পরিবার সুত্রে জানা যায়, নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু পাঁচথুপি কালীবাজারে একটি সভা করে এলাকার যুবকদের স্বাধীনতা সংগ্রামে উৎসাহিত করেছিলেন। পরে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু রাতে রাত্রিযাপন করেছিলেন ঘোষ মৌলিক পরিবারে ।
আরও পড়ুন - Crime News: শিউরে ওঠার মতো ঘটনা, দ্বিতীয় স্ত্রী, ছেলে, মেয়েকে খুন করে মাটিতে পুঁতে রোজ কাজ করত...
বর্তমানে সুনীল মোহন ঘোষ মৌলিক তার পুত্র ও বউমা বর্তমানে পরিবারে আছেন। পুত্রবধূ শর্মিলা ঘোষ মৌলিক, নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর শোনা কথা অনুযায়ী একাধিক বিবরণ দিয়েছেন। তবে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর সম্পর্কে না জানা ইতিহাস সম্পর্কে বেশ আফসোস করেন তিনি।
শুধু তাই নয়, সুনীল মোহনকে নিয়মিত চিঠি লিখতেন, শরীর স্বাস্থ্য, দেশের স্বাধীনতা আন্দোলন যুবকদের কিভাবে উৎসাহিত করবেন সেই বিষয়ে। যদিও তৎকালীন সময়ে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু যে ঘরে পা রেখেছিলেন এবং রাত্রিযাপন করেছিলেন সেই ঘরের আজ আর কোনও অস্তিত্ব নেই। ২০০৬ সালে ঘর ভেঙ্গে গেলেও যে দরজা দিয়ে প্রবেশ করেছিলেন সেই দরজা আজও অমলিন আছে।
সুনীল মোহন ঘোষ মৌলিক স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন, পেয়ে ছিলেন তাম্রপত্র, তবে স্বাধীনতা আন্দোলনের সুবাদে অনেকের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পরিচিতি গড়ে ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী সুনীল মোহন ঘোষ মৌলিক বলে জানান তার ছেলে সুদীপ মোহন ঘোষ মৌলিক ।
তবে আজ ১২৬তম নেতাজীর জন্মদিনে গর্বের সঙ্গে পাঁচথুপি গ্রাম নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু কে স্মরণ করে রেখেছে নিজেদের মনের মধ্যেই।
Kaushik Adhikary





