নবাব সিরাজউদ্দৌলার উপাধি মনসুর-উল-মুলক এর অনুকরণে প্রাসাদের নামকরণ করা হয় মনসুরগঞ্জ প্রাসাদ। প্রাসাদের পাশেই ছিল একটি ঝিল, যেই ঝিলের জল সব সময় হীরের মতো চকচক করতো, আর সেই কারণে লোকোমুখে এই স্থানের নাম হয় হিরাঝিল প্রাসাদ।
পলাশীর যুদ্ধের পর কিছুদিন নবাব মীরজাফর আলী খান এই প্রাসাদ ব্যবহার করেছিলেন এবং পরবর্তীতে পলাশীর যুদ্ধের পরে এই প্রাসাদ ধ্বংস করে দেওয়া হয় বলে ইতিহাসবিদগণের ধারণা। দীর্ঘদিন পর কয়েক বছর আগে জনসমক্ষে এসেছিল এই হীরাঝিল প্রাসাদ। প্রাসাদের সংরক্ষণের জন্য শুরু হয় আন্দোলন। দীর্ঘ আন্দোলন চললেও সরকারিভাবে এর কোনোরকম সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়নি।
advertisement
আরও পড়ুন : Free Doctor|| দারিদ্র আঁকড়ে ধরে পড়াশুনা, ১০ বছর ধরে বিনা পয়সায় চিকিৎসা সুন্দরবনে
আরও পড়ুন : Tiger Attack: কাঁকড়া ধরতে গিয়ে ফের মৃত্যু! বাঘের হামলায় প্রাণ গেল মৎস্যজীবীর
প্রসাদ সংরক্ষণের দাবিতে তৈরি হয়েছে হীরাঝিল বাচাও কমিটি। আর সেই হীরাঝিল বাচাও কমিটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হল হীরাঝিল উৎসব ২০২৩। করা হয় অঙ্কন প্রতিযোগি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আগামী দিনের কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করা হয়। আগামী দিনে রাজ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ভাগীরথী নদীর পার বাঁধানো হবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন আন্দোলনকারী সর্মপিতা দত্ত।
কৌশিক অধিকারী