মুর্শিদাবাদ জেলায় সেভাবে কোনও শিল্প গড়ে ওঠেনি। জেলায় কর্মসংস্থানের অন্য বন্দোবস্তও তেমন একটা নেই। ফলে এখানকার বহু মানুষ রোজগারের আশায় ভিন রাজ্য, এমনকি ভিন দেশে পাড়ি দেন। যে কোনও উপায়ে বাইরে গিয়ে রোজগার করার লক্ষ্য থাকায় মাঝেমধ্যেই তাঁদের বিপদে পড়ার খবর আসে। অনেকের প্রাণহানিও হয়। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল জলঙ্গির টিকিয়াপাড়ার মফিজুল হকের নাম।
advertisement
আরও পড়ুন: ভরতপুরের কিশোরী খুনের ঘটনায় বড় সাফল্য পুলিশের
কেরালার এর্নাকুলাম জেলার কদমঙ্গলাম এলাকায় রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন মফিজুল। তিনি ১৫ বছর বয়স থেকে সেখানে রাজমিস্ত্রির কাজ করছিলেন বলে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে। ছুটি নিয়ে বাড়ি এসেছিলেন সম্প্রতি। তবে মাসখানেক আগে আবার কেরালায় গিয়ে কাজে যোগ দেন। শনিবার রাতেও স্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়। আর রবিবার বেলার দিকে সেই মফিজুলেরই মৃত্যুর সংবাদ পায় পরিজনরা। জানা গিয়েছে, রবিবার ভাড়ার উপর উঠে নির্মীয়মান ভবনের সিমেন্টের কাজ করছিলেন মফিজুল। এর আগে তাঁর এক সহকর্মী ওই কাজ করছিলেন। কিন্তু তাঁকে নামিয়ে দিয়ে মফিজুল নিজে ওঠেন। সেই সময় হঠাৎই সানসেড-র ঢালাই ভেঙে তাঁর মাথার উপর এসে পড়ে। সহকর্মীরা দ্রুত মফিজুলকে ধ্বংসস্তূপের তলা থেকে উদ্ধার করেন বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু ততক্ষণে তাঁর দেহে প্রাণ ছিল না।
এদিকে গ্রামের বাড়ি মফিজুল হকের মৃত্যুর সংবাদ পৌঁছতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন স্ত্রী সহ পরিবারের সদস্যরা। মফিজুলই ছিলেন পরিবারের একমাত্র রোজগেরে। সেই তাঁর মৃত্যুতে এরপর কীভাবে সংসার চলবে তা বুঝতে পারছেন না কেউ। এছাড়াও এই মৃত পরিযায়ী শ্রমিকের দেহ কীভাবে বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হবে তা নিয়েও সংশয়ে আছে পরিবার।
কৌশিক অধিকারী